দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ মার্চ: আগুন নেভাতে নাকানিচোবানি খেতে হচ্ছে দমকলের প্রায় ৫-৬টি ইঞ্জিনকে! প্রায় শুকিয়ে কাঠ পাশের ২টি পুকুর। তারপরও টানা ৮-১০ ঘন্টার প্রচেষ্টায় পুরোপুরি নেভানো যায়নি আগুন! পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের রসিকগঞ্জের ধূপ কারখানায় এমনই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বুধবার ভোররাতে (রাত্রি ২টো নাগাদ)। দাহ্য পদার্থে ভর্তি থাকা কারখানা কয়েক মিনিটের মধ্যেই দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে! কারখানার নাইটগার্ড কালীপদ মালিক দোতলা থেকে পাশের জমিতে লাফ দিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচান। এদিকে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ায়, কারখানায় কর্মরত অন্তত হাজার দেড়েক পুরুষ-মহিলা কাজ হারিয়ে বুধবার সকাল থেকেই হাহাকার করছেন। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ঘাটালের সাংসদ দেব ওরফে দীপক অধিকারী।

thebengalpost.net
ভয়াবহ আগুন:

thebengalpost.net
কাজ হারিয়ে হাহাকার:

জানা যায়, বুধবার (১২ মার্চ) রাত্রি দু’টো নাগাদ কোনোভাবে ওই কারখানায় আগুন লাগে। দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে! বুঝতে পেরেই দোতলা থেকে লাফ দেন কারখানার নাইটগার্ড কালীপদ মালিক। খবর দেন কারখানার মালিক রাজকুমার দাস সহ কারখানার আধিকারিকদের। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ২টি ইঞ্জিন। ততক্ষণে অবশ্য আগুনের তীব্রতা এবং কানফাটানো শব্দে স্থানীয়রা পৌঁছে যান। কারখানার পাশের দু’টি পুকুর থেকে পাম্প লাগিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। একে একে দমকলের আরো তিন-চারটে ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তবে, আগুন নেভাতে নাকানিচোবানি খেতে হয় সকলকে। এদিকে বুধবার সকাল নাগাদ ওই দু’টি পুকুরও প্রায় শুকিয়ে যায়। পুকুরে থাকা মাছ ধরতে নেমে পড়তে হয় মালিকপক্ষকে! তবে, ঠিক কি কারণে এই আগুন, এখনও জানা যায়নি। কারখানার মালিক তথা দাসপুরের বাসিন্দা রাজকুমার দাস ক্ষতির পরিমাণ জানানোর মতো অবস্থাতেও নেই! কেঁদে ভাসাচ্ছেন কর্মরত ৫০০-৬০০ মহিলা সহ কারখানার শ্রমিকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ভেতরে কয়েক লক্ষ টাকার ধূপ ছিল! ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও দমকল বিভাগ। পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন সাংসদ দেব (ওরফে দীপক অধিকারী)।

thebengalpost.net
চলছে আগুন নেভানোর কাজ:

thebengalpost.net
হাত লাগিয়েছেন স্থানীয়রাও: