Education

WB HS Results 2023: উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় পশ্চিম মেদিনীপুরের একমাত্র তুহিন, পূর্বের ৫ জন মেধাতালিকায়

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ মে: মাধ্যমিকের (২০২৩) মেধাতালিকায় পশ্চিম মেদিনীপুরের ৯ জন কৃতী পড়ুয়া জায়গা করে নিয়েছিল। তবে, উচ্চ মাধ্যমিকে তেমনটা হলোনা! মেধাতালিকায় মাত্র ১ জনই জায়গা পেয়েছে এই জেলা থেকে। মেধাতালিকায় ‘নবম’ স্থান অধিকার করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া তুহিন রঞ্জন অধিকারী। তুহিনের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮ (৫০০’র মধ্যে)। মাধ্যমিকেও ভালো রেজাল্ট করেছিল দাসপুরের কৃতী সন্তান তুহিন। এই মুহূর্তে, IIT’র প্রবেশিকা পরীক্ষায় জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছে তুহিন। মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করার ইচ্ছে রয়েছে মেধাবী তুহিনের।

বাবা-মা’র সঙ্গে তুহিন:

দাসপুর এলাকার এক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান তুহিন রঞ্জন অধিকারী। বাবা তুষার রঞ্জন অধিকারী পশু চিকিৎসা বা ভেটেরিনারি বিভাগের একজন কর্মী। মা মধুমিতা অধিকারী (খাঁড়া) একজন গৃহবধূ।‌ তাঁরা জানান, “পড়াশোনার জন্য কখনো ওকে বলতে হয়নি। ও নিজের মতো করেই পড়ত। তবে, রাত জেগে পড়ত বলে, আমাদের দু’জনের মধ্যে কেউ একজন জেগে থাকতাম।” পড়াশোনার বাইরে তুহিন গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে। তুহিন অঙ্কে ১০০’য় পেয়েছে। তুহিন জানায়, “মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছে রয়েছে। এখন, আইআইটি’র প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করছি।” তুহিনের এও বলে, “আমার এই রেজাল্টের জন্য বাবা-মা ছাড়াও স্কুলের শিক্ষক এবং গৃহ শিক্ষকদের অবদান আছে।” এই প্রজন্মের পড়ুয়াদের জন্য তুহিনের পরামর্শ, “মোবাইল অনেক ভালো কাজে ব্যবহার করা যায়। অহেতুক গেম খেলা বা সমাজ মাধ্যমে সময় না দেওয়াই ভালো!”

এদিকে, মাধ্যমিকের পর উচ্চ মাধ্যমিকেও পাসের হারে শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পাশের হার ৯৫.৭৫ শতাংশ। মেধা তালিকায় এই জেলা থেকে ৫ জন জায়গা করে নিয়েছে। ৪৯৪ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে তমলুক হ্যামিলটন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র চন্দ্রবিন্দু মাইতি। এছাড়াও, বাজারপুর রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র দীপ্তার্ঘ্য দাস মেধাতালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২। অন্যদিকে, ৪৯১ নম্বর পেয়ে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে পরামনন্দপুর জগন্নাথ ইনস্টিটিউশনের সোমায়ন জানা। নবম স্থান অধিকার করেছে ধূলিয়াপুর পল্লিশ্রী বানি মন্দিরের বৃষ্টি মাইতি (৪৮৮)। ৪৮৭ নম্বর পেয়ে দশম স্থান অধিকার করেছে কালিন্দি ইউনিয়ন হাইস্কুলের শেখ সইফ উদ্দিন আহমেদ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উচ্চমাধ্যমিকে এই বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮ লক্ষ ৫২ হাজার। যা ২০২২ সালের তুলনায় প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার বেশি ছিল। পাসের হার ৮৯ শতাংশের সামান্য বেশি। ৪৯৬ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের শুভ্রাংশু সর্দার। এবার, প্রথম দশজনের মধ্যে (মেধাতালিকায়) জায়গা পেয়েছে ৮৭ জন পড়ুয়া। যা গতবারের তুলনায় অনেক কম! গত বছর হোম সেন্টারে পরীক্ষা হওয়ায় ‘রেকর্ড’ ২৭২ জন মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছিল। এর মধ্যে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জলচক নাটেশ্বরী নেতাজী বিদ্যায়তনেরই ২২ জন ছিল তালিকায়। এবার সেখানে ওই স্কুল থেকে একজনও মেধাতালিকায় জায়গা করে নিতে পারেনি! সর্বোচ্চ নম্বর ৪৬৬ বলে জানা গেছে বিদ্যালয় সূত্রে।

News Desk

Recent Posts

Vidyasagar University: আবহাওয়ার নিখুঁত খবর জানতে ISRO-র সহযোগিতায় আকাশে যন্ত্র লাগানো বেলুন পাঠাল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ জুন: রবিবার (২২ জুন) দুপুর ঠিক ২টো ১…

2 days ago

Midnapore: “১৯৭৮-এর পর এমন ভয়াবহ বন্যা দেখেনি গড়বেতা!” আসরে NDRF-SDRF; প্লাবন পরিস্থিতি চন্দ্রকোনাতেও

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ জুন: ১৯৭৮ সালের পর এমন ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির…

5 days ago

Midnapore: মিয়াজাকি, ব্ল্যাকস্টোন থেকে আম্রপালি, হিমসাগর; মেদিনীপুরে জমজমাট ‘আম উৎসব’

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ জুন: ৩০ টাকা প্রতি কেজি থেকে ৩ লক্ষ…

7 days ago

Kharagpur: খড়্গপুরের কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ! মৃত্যু এক শ্রমিকের

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ১৭ জুন: গ্লিসারিন কারখানায় ওয়েল্ডিং- এর কাজ চলাকালীন ভয়াবহ বিস্ফোরণ!…

1 week ago

Midnapore: প্রায় দু’দশক পরে পশ্চিম মেদিনীপুরে শুরু হয়েছিল প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া; থমকে গেল আদালতের নির্দেশে

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ জুন: ২০০৮ এর পর ২০২৫। দীর্ঘ প্রায় দুই…

1 week ago

Elephant: হাতির পালকে তাক করে ছোঁড়া হচ্ছে একের পর এক জ্বলন্ত হুলা; নেটমাধ্যমে ছবি ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দার ঢল

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ১৩ জুন: হাতির পালকে তাক করে ছোঁড়া হচ্ছে একের পর…

2 weeks ago