দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ মে: বাবা সবজি বিক্রেতা। মা গৃহবধূ। দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করেই উচ্চ মাধ্যমিকের বিজ্ঞান শাখা থেকে প্রায় ৯৩ শতাংশ নম্বর পেল শালবনীর মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের ছাত্রী সুইটি বেতাল। সুইটির প্রাপ্ত ৪৬৩ নম্বরই এখনও পর্যন্ত ব্লকে (পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী ব্লকে) সর্বোচ্চ নম্বর বলে জানিয়েছেন শালবনীর বিডিও রোমান মন্ডল। বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে মার্কশিট হাতে পেয়েছে সুইটি সহ সকলেই। স্কুলের তরফে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ নেতৃত্বদানকারী কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং সহ ‘ভারতীয় সেনা’-র নারীশক্তি-কে শ্রদ্ধা জানানো হয় এদিন। সেখানেই সুইটি জানায়, সে তার এই সাফল্য উৎসর্গ করতে চায় দেশের এই নারীশক্তিকেই!
সুইটির বাবা সুকুমার বেতাল শালবনীর সাতপাটি বাজারে সবজি বিক্রি করেন। মা ঝুমা বেতাল গৃহবধূ। তবে, মাঝেমধ্যেই স্বামীর কাজে তাঁকে সাহায্য করতে হয়। তাঁদের দুই মেয়ে। সুইটি বড়। ছোট মেয়ে সুস্মিতা সাতপাটি হাইস্কুলে নবম শ্রেণীতে পড়ে। সুইটিও দশম শ্রেণী পর্যন্ত সাতপাটি স্কুলেই পড়াশোনা করেছে। ৬১৫ (৮৮ শতাংশ) নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাস করার পর মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠে সায়েন্স (বিজ্ঞান শাখা) নিয়ে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয় সে। ছোট থেকেই মেধাবী এবং কঠোর পরিশ্রমী সুইটি মূলত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহায্যের উপর নির্ভর করেই উচ্চ মাধ্যমিকে সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার বাবা-মা। মা ঝুমা বেতাল, “আমরা ওর লড়াইতে যথাসাধ্য পাশে থেকেছি। তবে, ওর নিজের জেদ আর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহায্য ছাড়া কোনকিছুই সম্ভব হতোনা!” সুইটি বলে, “প্রধান শিক্ষক সহ আমাদের স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবদান আমি কোনদিন ভুলতে পারবো না। আমাদের স্কুলের উদ্যোগেই যে কোচিং সেন্টারটি চলে, সেখানকার শিক্ষকরাও সবসময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।”
সুইটির পরবর্তী লক্ষ্য পদার্থবিদ্যা বা রসায়ন নিয়ে পড়ে গবেষণা করা। যদিও, দরিদ্র পরিবারের কন্যা সুইটি জানায়, “১ জুন এইমস নার্সিং- এর পরীক্ষা আছে। ওতে সুযোগ পেয়ে গেলে চলে যাব ভাবছি!” পরিবারের কথা ভেবেই সুইটি এমন ভাবনাচিন্তা করলেও, শিক্ষক-শিক্ষিকারা চান সুইটি একজন সফল গবেষক হোক। সেক্ষেত্রে পরিবারের আর্থিক অবস্থা যে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে, তাও মানছেন মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক প্রসূন কুমার পড়িয়া। তিনি বলেন, “পড়াশোনা থেকে আবৃত্তি কিংবা ছবি আঁকা সবকিছুতেই ও অসামান্য প্রতিভার অধিকারী। শান্ত ও নম্র স্বভাবের সুইটি একটু আর্থিক সাহায্য পেলে আগামী দিনে অনেক দূর যেতে পারবে।” শালবনী ব্লক প্রশাসনের তরফে সুইটিকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিডিও রোমান মন্ডল। তিনি বলেন, “ওর উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে যাতে কোন বাধা না আসে, আমরা সেই বিষয়টিও দেখার চেষ্টা করব।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ জুন: রবিবার (২২ জুন) দুপুর ঠিক ২টো ১…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ জুন: ১৯৭৮ সালের পর এমন ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ জুন: ৩০ টাকা প্রতি কেজি থেকে ৩ লক্ষ…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ১৭ জুন: গ্লিসারিন কারখানায় ওয়েল্ডিং- এর কাজ চলাকালীন ভয়াবহ বিস্ফোরণ!…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ জুন: ২০০৮ এর পর ২০২৫। দীর্ঘ প্রায় দুই…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ১৩ জুন: হাতির পালকে তাক করে ছোঁড়া হচ্ছে একের পর…