দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ১৩ ফেব্রুয়ারি: ৬০ নং ও ৬ নং- দু’দুটি জাতীয় সড়ক গিয়েছে খড়্গপুরের উপর দিয়ে। অবস্থান আর গুরুত্ব বুঝেই প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে গড়ে উঠেছিল ট্রমা ইউনিট (Trauma Unit)। সালটা ছিল ২০০৯-‘১০। এসেছিল অত্যাধুনিক সব মেশিনপত্র। তবে, গত ১২-১৩ বছরে সেই সব মেশিনপত্রে শুধু ধুলোই জমেছে! ট্রমা ইউনিট আর চালু হয়নি। অথচ, জাতীয় সড়কে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা! হাত-পা ভাঙা থেকে শুরু করে মাথায়-শরীরে চোট নিয়ে আসা রোগীদের রেফার করে দেওয়া হয় ১৭-১৮ কিলোমিটার দূরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। খড়্গপুর বাসীর দাবি, রাস্তাতেই অনেক সময় বড় বিপদ ঘটে যায়! হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে রবিবার এক রোগীর পরিজন জানালেন, “সম্প্রতি, খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ICCU চালু করা হয়েছে বর্তমান রাজ্য সরকারের উদ্যোগে। তবে, এই হাসপাতালের ক্ষেত্রে যেটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, সেই ট্রমা ইউনিট টাই চালু করা হয়নি!”
খড়্গপুরের ‘আমরা বামপন্থী’ সংগঠনের সম্পাদক অনিল দাস রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে জানালেন, “আগের সরকার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব বুঝেই জাতীয় সড়কের পাশে অবস্থিত এই হাসপাতালে ট্রমা ইউনিট চালু করার উদ্যোগ নিয়েছিল। দামি মেশিনপত্র সড় সবকিছুই পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, এঁরা তা ফেলে রেখেছে বছরের পর বছর ধরে। ব্যস্ততম এই খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী আসেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই আসেন নানা ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। কিন্তু, তাঁদের পরিষেবা দেওয়া যায়না। মেদিনীপুরে রেফার করা হয়, সেখান থেকে পিজি! রাস্তাতেই অনেকে মারা যান। সম্প্রতি একটা ছোট আইসিইউ চালু করা হয়েছে, ভালো কথা। কিন্তু, আইসিইউ তো যেকোনো সময়ই চালু করা যায়। যেটা সবথেকে প্রয়োজনীয়, সেই ট্রমা ইউনিট চালু করার কোনো উদ্যোগই নেই এই সরকারের। মেশিনপত্র সব পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। আমার অবিলম্বে এই বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার আবেদন জানাই। নাহলে ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাব আমরা।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানান, “জাতীয় সড়কের পাশে প্রতি ২৫ কিঃমিঃ অন্তরই ট্রমা ইউনিট থাকার কথা। সেই হিসেবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কিছু মেশিনপত্র দিলেই এই ইউনিট চালু করা যায়না। একটা বিশাল সেটআপের প্রয়োজন হয়। নিউরো, অর্থো সহ একাধিক বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজন হয়। যতদিন না সেই অভাব পূরণ হচ্ছে, ততদিন এখানে ট্রমা ইউনিট চালু করা সম্ভব নয়। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি এই হাসপাতালে চলতি মাসের মধ্যেই সিটি স্ক্যান পরিষেবা চালু করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া (টেন্ডার প্রক্রিয়া) শুরু করার বিষয়ে। এছাড়াও, এখানে ICCU (Intensive Critical Care Unit) চালু করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ট্রমা ইউনিট চালু করার বিষয়েও আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাব।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ জুন: বাঙালির ভাষা শিক্ষা আর নীতিশিক্ষার ভিত গড়ে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ জুন: গবাদি পশু (মহিষ) খুঁজতে বেরিয়ে দলছুট দাঁতালের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ জুন: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে পঞ্চায়েত…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ জুন: গত ১৯ এপ্রিল প্রকাশিত সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ জুন: ছুটিতেও ছুটি নেই তাঁর। গত কয়েকদিন ধরে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ মে: আদালতের নির্দেশে অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে আক্রান্ত…