দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ অক্টোবর: বোর্ডে লেখা- ফতেচক (বাসুদেবপুর) হইতে জামঝেটিয়া পর্যন্ত ৩ কিমি রাস্তা ১ কোটি ৬৩ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার রাস্তা। কাজ শুরু হয়েছে ২০১৮ সালে (১৪.০৩.১৮) এবং শেষ হয়েছে ২০২০ সালে (১৫.০১.২০)। পরবর্তী ৫ বছরের রক্ষণাবেক্ষণের ১৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকাও বরাদ্দ হয়ে গেছে। ঠিকাদারের নাম- দিলীপ কুমার সামন্ত। তবে, এ সবটাই ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা’র বোর্ডে সুন্দর করে খোদাই করা আছে মাত্র! বাস্তবে, ২০১৮-‘২০ সাল তো দূরের কথা, গত ১৫ (২০০৭ সালের পর) বছরে নাকি ওই এলাকায় রাস্তার ‘র’ ও হয়নি। এমনটাই বলছেন, খড়্গপুর ২ নং ব্লকের সাঁকোয়া ২ নং অঞ্চলের ফতেচক এলাকার কয়েকশো বাসিন্দা। তাই, বাধ্য হয়েই নিজেরাই ২০০-৫০০ টাকা করে চাঁদা তুলে বড় বড় গর্ত ভর্তি, বেহাল রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন।
ঘটনার কথা পরোক্ষে স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান তাপসী জানা-ও। তাঁর মতে, “ঠিকাদার যে জায়গায় বোর্ড লাগিয়েছেন, সেখানে রাস্তা না করে অন্য দিক দিয়ে ঘুরিয়ে অর্থাৎ সাঁকোয়া লকবাজার থেকে জামজেটিয়া পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা করে দিয়েছেন! যা একেবারেই উচিৎ হয়নি। ফতেচক থেকে লকবাজার হয়ে জামঝেটিয়া অবধি ৬ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের জন্যই কেন্দ্র সরকারের তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু, ফতেচক থেকে লকবাজার অবধি তিন কিলোমিটার রাস্তা আজ অবধি হয়নি!” বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান এ কথা বললেও, মানতে নারাজ জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতা নির্মল ঘোষ। তাঁর দাবি, বোর্ড যখন লাগানো হয়েছে, টাকা যখন বরাদ্দ হয়েছে, তখন রাস্তাও হয়েছে! হয়তো বন্যা বা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে সেই রাস্তা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক অজিত মাইতিও।
অন্যদিকে, ফতেচক এলাকার সেখ আলম, সেখ সাগর আলি-রা বলছেন, “২০০৭ সালের পর এখানে কোনো রাস্তা হয়নি। শুধু বোর্ড লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আমরা জানিয়েছি, কোনো কাজ হয়নি। গত কয়েকদিন আগেই এই রাস্তায় ট্রেকার উল্টে অনেকে আহত হয়েছেন। এই তো দেখছেন বড় বড় গর্ত। যেকোনো মুহূর্তে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় থাকি আমরা। বৃষ্টির পর হেঁটে পেরোনো যায়না! তাই, বাধ্য হয়ে আমরা চাঁদা তুলে রাস্তা সংস্কার করছি।” এলাকাবাসীর মতে, পঞ্চায়েতের তরফে মুরম (বা, মুরম) দেওয়া হয়েছে এর আগে; কিন্তু এমনতো হওয়ার কথা ছিলোনা! কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের অর্থানুকুল্যে, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার প্রায় পৌনে দু’কোটি টাকায় এখানেই ঝাঁ চকচকে পাকা রাস্তা হওয়ার কথা ছিল! তবে, সেই টাকা হজম করলো কে বা কারা? প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী। জানা যায়, ৬ কিলোমিটার রাস্তা হওয়ার কথা থাকলেও, তিন কিলোমিটার হয়েছিল। বাকি তিন কিলোমিটার হয়নি! আর, তাতেই সমস্যা। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ বলেন, “রাস্তা তো অবশ্যই হয়েছে। তা সত্ত্বেও আমার তদন্ত করে দেখব! তবে, ইতিমধ্যে ওই রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের তহবিল থেকেই খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ জুন: রবিবার (২২ জুন) দুপুর ঠিক ২টো ১…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ জুন: ১৯৭৮ সালের পর এমন ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ জুন: ৩০ টাকা প্রতি কেজি থেকে ৩ লক্ষ…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ১৭ জুন: গ্লিসারিন কারখানায় ওয়েল্ডিং- এর কাজ চলাকালীন ভয়াবহ বিস্ফোরণ!…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ জুন: ২০০৮ এর পর ২০২৫। দীর্ঘ প্রায় দুই…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ১৩ জুন: হাতির পালকে তাক করে ছোঁড়া হচ্ছে একের পর…