দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২৪ মার্চ: পশ্চিম মেদিনীপুর পিংলা বিধানসভার অধীন খড়্গপুর গ্রামীণ থানার অন্তর্গত বারবাসী এলাকায় সদ্য রোপন করা বোরো ধানের জমি থেকে শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে উদ্ধার হয় এক যুবকের মৃতদেহ। মৃত যুবকের নাম শান্তনু ঘোড়ই (৩২)। ওই এলাকারই বাসিন্দা। বিজেপি-র দাবি, শান্তনু তাদের দলের সক্রিয় কর্মী। বিজেপি করার ‘অপরাধেই’ তাকে প্রাণে মেরে ফেলা হয়েছে! এর আগেও তাকে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা ‘মেরে ফেলার’ হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ। মৃতের দাদা অতনু ঘোড়ইয়ের অভিযোগ, শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুর দুটোর পর থেকে তার ভাই নিখোঁজ ছিল। শনিবার ধান জমি থেকে ভাইয়ের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বিজেপি করার ‘অপরাধে’ তার ভাইকে ঠান্ডা মাথায় খুন করেছে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা; এমনই অভিযোগ অতনুর। কিন্তু, শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খড়্গপুর গ্রামীণ থানায় বসিয়ে রাখা হলেও, FIR নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ অতনু সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য থেকে শুরু করে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের। এরপরই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন খড়্গপুর সদরের বিধায়ক তথা ঘাটাল লোকসভা আসনের BJP প্রার্থী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় ওরফে হিরণ।
শনিবার সন্ধ্যায় খড়্গপুর গ্রামীণ থানায় পৌঁছন হিরণ। হিরণের দাবি, “প্রথমে বলা হলো FIR নেওয়া হবে। এরপরই কালীঘাট থেকে ফোন চলে এলো! তারপরই পুলিশ গিরগিটির মতো রং বদল করে বলল, FIR- এর বয়ান বদল করতে হবে। এরপর আমি এদের বসের বসের বসকে ফোন করি। এস.পি-র বসের বসকে। তারপর FIR নিয়েছে।” এরপরই হিরনের সংযোজন, “আপনারা সবাই দেখেছেন কিভাবে মৃতদেহের হাত দুটি বাঁধা ছিল! নাক, মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়েছে। ওই জায়গাটা রক্তে ভেসে গেছে। আর পুলিশ বলছে খুন করা হয়নি, পড়ে গিয়ে মারা গেছে। এইতো পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা! আমি যদি এদের বসের বসের বসকে ফোন না করতাম, FIR-ই নিতোনা। তদন্ত তো দূরের কথা!” এদিন, শান্তনু’র শোকাহত মা, দাদা সহ পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন হিরণ। বিজেপি-র ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তন্ময় দাসের বক্তব্য, “শান্তনু আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিল। ওকে ঘরছাড়া করার হুঁশিয়ারি থেকে শুরু করে, প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে একাধিকবার। তৃণমূলের হুমকি উপেক্ষা করেই দেওয়াল লিখন থেকে শুরু করে সব কাজই করছিল। ফলস্বরূপ এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য আমাদের এই কর্মীকে মেরে ফেলা হয়েছে।” এই বিষয়ে পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতির বক্তব্য, “ছেলেটি মাদকাসক্ত। সব সময় মদ্যপ অবস্থায় থাকত। ওর জ্ঞাতি-গুষ্ঠীর সঙ্গে এই নিয়ে সবসময় বিরোধ। এর সঙ্গে বিজেপি রাজনীতিকে মিশিয়ে দিচ্ছে। আসলে ওদের প্রচারে লোক হচ্ছে না, তাই একটা মৃতদেহের দরকার ছিল! মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করা শুরু করেছে। আমরাও পুলিশকে বলেছি ময়নাতদন্ত করে সঠিকভাবে তদন্ত করে জানাতে, কি কারণে মৃত্যু হয়েছে।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ জুন: চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল মেদিনীপুর স্টেশনে একা…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ জুন: জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি এলাকার নেহাতই খেটেখাওয়া…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ জুন: বাঙালির ভাষা শিক্ষা আর নীতিশিক্ষার ভিত গড়ে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ জুন: গবাদি পশু (মহিষ) খুঁজতে বেরিয়ে দলছুট দাঁতালের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ জুন: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে পঞ্চায়েত…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ জুন: গত ১৯ এপ্রিল প্রকাশিত সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স…