দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ২০ মে: ইদানিং একটা প্রবাদ ছড়িয়েছে বাংলায় (অর্থাৎ, পশ্চিমবঙ্গে)- “লক্ষ্মীর ভান্ডার ছাড়া কিছু চাইলেই আদালতে যেতে হবে!” তা সে সরকারি কর্মীদের ডিএ (DA) হোক বা শিক্ষিত বেকারদের চাকরি। সরকারি কর্মীদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ঘেউ ঘেউ করবেন না!” আর, চাকরি দুর্নীতিতে জড়িয়ে স্বয়ং প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী এবং বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী! তাই, ভরসা শুধু আদালত। ভরসা অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, হরিশ ট্যান্ডনের মতো বিচারপতিরাই! শুক্রবারও দিনভর কলকাতা হাইকোর্টের দিকে নজর থাকবে চাকরিজীবী থেকে শিক্ষিত বেকার এবং সাধারণ মানুষের। এদিকে, সাতসকালেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ (বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের) জানিয়ে দিল, আগামী তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ (Dearness Allowances) মিটিয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে স্যাটের (SAT- State Administrative Tribunal) রায়-ই বহাল রাখল আদালত। এই রায়ে স্বভাবতই খুশি সরকারি কর্মচারীরা, অন্যদিকে মাথায় হাত রাজ্য সরকারের!

thebengalpost.net
কলকাতা হাইকোর্ট:

উল্লেখ্য যে, এরপর, বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে প্রথমার্ধে গ্রুপ D নিয়োগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের CBI তলবের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি। অন্যদিকে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে প্রথমার্ধে ৯-১০ ও ১১-১২ এর নম্বর সহ মেরিট লিস্ট প্রকাশের মামলা।‌আবার, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে দ্বিতীয়ার্ধে CBI মামলা। এছাড়াও, আজ, শুক্রবার, সুপ্রিম কোর্টে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আপিল‌ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বিরুদ্ধে। একদিকে তিনি ডিভিশন বেঞ্চে ভরসা রাখছেন, অন্যদিকে সেই ডিভিশন বেঞ্চ এর বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন। সবমিলিয়ে, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগে দুর্নীতিতে জড়িয়ে মহা চাপে পার্থ! এসবের মধ্যেই, কিছুক্ষণের মধ্যে (বেলা ১১ টা নাগাদ) বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে ফের সিবিআই এর মুখোমুখি হতে হচ্ছে! জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী-কেও।