দ্য বেঙ্গল পোস্ট বিশেষ প্রতিবেদন, কলকাতা, ১২ আগস্ট: এও যেন এক কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ! আছেন অর্জুন (পার্থ)। আছেন কৃষ্ণ (কেষ্ট)-ও। সমালোচকেরা বলছেন, আছেন ধৃতরাষ্ট্র-গান্ধারী’রাও! তবে, সে যুদ্ধ ছিল ‘ধর্ম যুদ্ধ’ বা ‘ধর্ম রক্ষার যুদ্ধ’। তাই, সেখানে অর্জুনের সারথি হয়েছিলেন শ্রী কৃষ্ণ। জয়ী হয়েছিলেন তাঁরাই। আর, এখানে নাকি ‘অপ-কর্ম যুদ্ধ’ বা ‘ধন বৃদ্ধি করার যুদ্ধ (প্রতিযোগিতা)!’ তাই, সেই যুদ্ধে শত্রু (সিবিআই)’র হাতে পরাস্ত ও বন্দী ‘হইয়াছেন’ কৃষ্ণ-অর্জুন (কেষ্ট-পার্থ)। এই মুহূর্তে, অর্জুন (পার্থ) কারাগারে বন্দী। আর, কৃষ্ণ (কেষ্ট) শত্রুর হেফাজতে (পড়ুন, সিবিআইয়ের হেফাজতে) আছেন।

thebengalpost.net
জেলবন্দী পার্থের জীবন (ছবি সৌজন্যে- সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম):

বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতার হলেও, ‘কেষ্ট’ অনুব্রতের গ্রেফতারির খবর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কানে পৌঁছেছে গোধূলিবেলায়। সেই সময় নিজের জেল কুঠুরির (সেলের) বাইরে পায়চারি করছিলেন পার্থ। রক্ষীদের মাধ্যমে প্রিয় কেষ্ট’র গ্রেফতার হওয়ার খবর শোনামাত্রই, ‘পথ চেয়ে বসে থাকা’ পার্থ নাকি তাঁদের জিজ্ঞাসা করেছেন, “অনুব্রত কি এই জেলেই আসবে?” শুধু এটুকুই! আর, একথা পার্থ-অনুগামীদের কানে পৌঁছনো মাত্র-ই তাঁরা বলছেন, “গেলে তো ভালোই। দাদা ওখানে বড্ড একা হয়ে গেছেন। সবসময় কি আর, রামকৃষ্ণ কথামৃত পড়তে বা লেখালেখি করতে ভালো লাগে! একজন সঙ্গী তো অন্তত পাবেন, কথা বলার। যতোই হোক দু’জনই তো দলের জন্য (পড়ুন, দিদির জন্য) নিবেদিত প্রাণ ছিলেন!” শুনে বিরোধীরা বলছেন, “এতদূর অবধি তো সবটাই ঠিক ছিলো, তবে দিদির আস্কারাতে একটু বেশিই (ধন আহরণ) করে ফেলেছিলেন! আর, তা করতে গিয়ে, কতজনের যে চোখের জল ফেলিয়েছেন, তার হিসাব নেই!”

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন: