দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ সেপ্টেম্বর: নিকাশি ব্যবস্থা রাখার প্রয়োজন-ই নেই! নেতাদের ‘কাটমানি’ দিয়ে ‘যেন তেন প্রকারেণ’ ফ্ল্যাট হাঁকালেই হলো। কোটি কোটি টাকার ব্যবসা! দু’দিন আগেই খড়্গপুর শিল্পতালুকের আশেপাশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ফ্ল্যাট স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নজরে এনেছিলেন জেলাশাসক থেকে এমকেডিএ’র। এমনকি, এজন্য এমকেডিএ চেয়ারম্যান দীনেন রায়-কে ধমক-ও খেতে হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও, দীনেন নাকি এর দায় ঠেলেছেন পূর্বতন চেয়ারম্যান প্রয়াত মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি’র ঘাড়ে! অন্যদিকে, জেলা শহর মেদিনীপুর থেকে রেল শহর খড়্গপুর সর্বত্র পরিকল্পনাহীন ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে একের পর এক ফ্ল্যাট। নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে, প্রশাসনের আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ঘুরপথে তৈরি করা হয়েছে ফ্ল্যাট বা আবাসন। রাখা হয়নি নিকাশি ব্যবস্থাও। ফলস্বরূপ, মাত্র আধঘন্টার বৃষ্টিতেই ডুবে যাচ্ছে খড়্গপুর-মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকা।

শনিবার সকালে যেমন আধঘন্টার বৃষ্টিতেই ডুবে গেল খড়্গপুর শহরের ইন্দা সংলগ্ন আনন্দনগর, নিউ টাউন থেকে শহরের শেষ প্রান্তে অবস্থিত ঝাপেটাপুর, মীরপুর এলাকা। অন্যদিকে, খড়্গপুর রেল স্টেশনের ঢোকার মুখেও এক হাঁটু জল। প্রায় পুরো স্টেশন চত্বর জল থৈ থৈ অবস্থা! সাবওয়ে দিয়ে বয়ে গেল এক মানুষ জল। যেন ছোটোখাটো একটি নদী! খোদ খড়্গপুর পৌরসভার সমনেও এক হাঁটু জল। অন্যদিকে, খড়্গপুর হোক বা মেদিনীপুর- মাত্র কয়েক মিনিটের টানা বৃষ্টিতেই এখন নর্দমা বা ড্রেনের জল উঠে যায় রাজপথে! সেসব পেরিয়েই সাধারণ মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। এজন্য, প্রশাসনের অকর্মণ্যতা এবং দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার মানসিকতাকেই দায়ী করছেন সাধারণ মানুষ। শহরবাসী বলছেন, “নেতাদের পকেটে কাটমানি গুঁজে দিয়ে, ব্যাঙের ছাতার মতো পরিকল্পনাহীন ভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে এই সমস্ত ফ্ল্যাট। ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।” মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান অবশ্য, বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা ফ্ল্যাটের মালিক বা প্রোমোটারদের আইনি নোটিশ ধরানোর কথা জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে।