তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ ফেব্রুয়ারি: “বাচ্চা বিক্রি আছে। কেউ নেবেন?” এমনভাবেই হেঁকে হেঁকে বাচ্চা বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশের জালে এক ব্যক্তি। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার খিরাটি এলাকার। জানা যায়, শুক্রবার বাচ্চা বিক্রি করার জন্য এক যাযাবর দম্পতি ইতস্তত ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এমনই খবর যায় প্রশাসনের কাছে। খবর পেয়ে প্রশাসনের আধিকারিকরা বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানা গেছে পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে। ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

thebengalpost.net
ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য:

সূত্রের খবর অনুযায়ী, খিরাটি এলাকায় বেশ কয়েক মাস ধরেই কয়েকজন যাযাবর বসবাস করছিল। আর, সেই যাযাবরেরাই নাকি ৩ বছর বয়সী এক শিশুকে বিক্রি করার চেষ্টা করে শুক্রবার। গ্রামবাসীদের আভিযোগ তেমনটাই। খবর যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চাইল্ড ডিপার্টমেন্টের কাছে। খবর পেয়ে চাইল্ড দপ্তরের আধিকারিক ও চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। অভিযুক্ত বানজারা মুসলাম সিং এর স্ত্রী’র দাবি, তার ভাই কয়েক মাস আগে ওই বাচ্চাটিকে তাদের কাছে দিয়ে গিয়েছিল। এই বাচ্চাটি হাওড়ার কোন এক স্টেশন থেকে তার ভাই কুড়িয়ে পেয়েছিল বলেও ওই বানজারা মহিলার দাবি। অপরদিকে, এই ঘটনা জানাজানি হতেই খিরাটি গ্রামের মানুষজন দাবি তুলেছেন, সঠিক বাবা মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হোক বাচ্চাটিকে। বাচ্চার প্রকৃত পরিচয় জানতে উদগ্রীব সকলেই। এই বিষয়ে জেলা চাইল্ড প্রোটেক্ট অফিসার অমল মান্না জানান, “আমাদের কাছে খবর আসে, এক যাযাবর দম্পতি একটি বাচ্চাকে নিয়ে এসে রেখেছে। বাচ্চাটিকে তারা কাউকে বিক্রি করবে বলেও চেষ্টা করে। সেই মতো পুলিশকে সাথে নিয়ে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা হয়।” অর্চনা ঘোড়ই নামে এলাকারই এক মহিলা জানান, তাঁর শ্বশুর মশাই অতুল ঘোড়ইয়ের সাথে বাচ্চাটিকে দেওয়া নিয়ে কথা হয়েছিল। তাদের এক আত্মীয়ের কোনো বাচ্চা না থাকায় ওই বাচ্চাটিকে দেওয়া নিয়ে কথা হয়েছিল। তবে দরদাম হয়নি! আর এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খিরাটি এলাকায়।