দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ অক্টোবর: সম্পূর্ণ বিবস্ত্র ও সংজ্ঞাহীন (বা, অচেতন) অবস্থায় পড়েছিলেন জেলা শহর মেদিনীপুরের ‘অভিজাত’ রবীন্দ্রনগর (অরবিন্দ স্টেডিয়াম সংলগ্ন) এলাকায়, ব্যস্ততম রাস্তার ঠিক পাশেই। দিনের আলোয় রীতিমত জনবহুল এলাকায় এমন ‘দৃশ্য’ দেখেও দেখলেন না ‘অমানবিক শহরবাসী! অবশেষে শহরের এক বাচিক শিল্পীর কাছ থেকে এই খবর পাওয়ার সাথে সাথেই উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান। দ্রুত সেই স্থানে পৌঁছে প্রথমেই অসুস্থ ও বিবস্ত্র ওই মহিলার শরীরে চাদর জড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। তারপর পৌরসভার কর্মী ও কোতোয়ালি থানার পুলিশ আধিকারিকদের খবর দিয়ে, তাঁকে সেই জায়গা থেকে দ্রুত উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেন। রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ ঘটে যাওয়া এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

thebengalpost.net
অসুস্থ অবস্থায় পড়েছিলেন মেদিনীপুর শহরের রাস্তায়:

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ওই মহিলার নাম সোনু দেবী। বয়স ৪৮। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের খোন্ডা এলাকায়। কিভাবে তিনি মেদিনীপুর শহরে পৌঁছলেন, সেই বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে পুলিশ ও পৌরসভা। তবে, গত দু-তিনদিন ধরেই তাঁকে মেদিনীপুর শহরের রাস্তায় অবিন্যস্ত ও অসংলগ্ন অবস্থায় বা উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন বলে দাবি করেছেন কেউ কেউ। তবে, এদিন যেভাবে শহরবাসী তাঁকে উপেক্ষা করেছেন, তাতে কার্যত ‘হতাশা’ প্রকাশ করেছেন মেদিনীপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান সৌমেন খান। তিনি বলেন, “আমাদের গর্বের শহর মেদিনীপুরের বাসিন্দারা যে এতটা অমানবিক হতে পারেন, তা আমার ধারণার বাইরে ছিল! কেউ তো একটা চাদর, ওড়না কিংবা গামছা ওঁর গায়ে চাপিয়ে দিতে পারতেন। যাই হোক, আমি একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানেই মেদিনীপুর শহরের বাচিক শিল্পী মৈথিলী ঘোষ আমাকে এই বিষয়টি জানান। আমি তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।”

thebengalpost.net
ভর্তি করা হল হাসপাতালে :