thebengalpost.net
খড়গপুরে দিলীপ ঘোষ:

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ ফেব্রুয়ারি: “এইসব ঘটনা আমরা সিনেমায় দেখতাম। বিহারের রাজনীতিতে দেখতাম। হাসাহাসি করতাম! আজ বাংলার গ্রামে গ্রামে মহিলাদের সঙ্গে এরকম হচ্ছে। ৫০০ টাকা দিয়ে ওদের সম্মানকে কিনে নিচ্ছেন মমতা ব্যানার্জি। আর তাঁর পার্টির নেতারা মহিলাদের অ্যামিউসমেন্টের জিনিস মনে করছেন। ভোগের জিনিস মনে করছেন! কি লজ্জার বিষয়! মহিলারা রাস্তায় বেরিয়ে তাঁদের সেই দুঃখের কথা বলছেন। তাদের সঙ্গে কি অত্যাচার হয়েছে! পার্টি অফিসগুলো কি বেশ্যালয় হয়ে গেছে? যেখানে গ্রামের মহিলাদেরকে তুলে নিয়ে গিয়ে ভোগ করা হচ্ছে! আর কারা করছে? টিএমসি-র ঝান্ডা ধরে যারা পঞ্চায়েত হয়েছে, প্রধান হয়েছে, তাদের নেতা হয়েছে।” ফের বে-লাগাম মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ! মঙ্গলবার সাত সকালে খড়্গপুর শহরে চা-চক্র থেকে ‘সন্দেশখালি’ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিস গুলিকে ‘বেশ্যালয়’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি।

thebengalpost.net
খড়গপুরে দিলীপ ঘোষ:

প্রসঙ্গত, সোমবারই সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস। মহিলারা তাঁর পা জড়িয়ে ধরে নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন। আর সেই বিষয়েই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন বিজেপি সাংসদ! “রাজ্য সরকারের ৫০০ টাকা ভাতার (লক্ষ্মীর ভান্ডা?) বিনিময়ে, মহিলাদের নিয়ে গিয়ে ভোগ করা হচ্ছে” দাবি করার সাথে সাথেই, তৃণমূলের পার্টি অফিসগুলিকে ‘বেশ্যালয়’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, “ওঁর কথার আর কি প্রতিক্রিয়া দেব? একটা নাইন পাস, অসভ্য লোক। মুখে কদর্য ভাষা ছাড়া আর কোন ভাষা নেই। উনি কি জানেন না, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভান্ডারকে নকল করে বিভিন্ন রাজ্যে ওঁদের নেতারা ভোট বৈতরণী পের হওয়ার চেষ্টা করছেন। সারাদেশ একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নারীর ক্ষমতায়ণ আর নারীর প্রতি সম্মানের কথা বলেন। আর সেই কাজ করে চলেন। দিলীপ ঘোষেরা এসব মর্ম কি করে বুঝবেন! বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে নারীদের ওপর সব থেকে বেশি অত্যাচার হয়, ধর্ষণ হয়। আর আমাদের কলকাতা কেন্দ্রীয় সরকারের সমীক্ষাতেই দেশের মধ্যে সবথেকে নিরাপদ শহর! ওঁরা কি ভুলে গেছেন, মণিপুরে কিভাবে দু’জন মহিলাকে প্রকাশ্য রাস্তায় নগ্ন করে ধর্ষণ করা হয়েছিল? পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। সন্দেশখালির ঘটনাতেও আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।”