দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ নভেম্বর: অবশেষে পেলেন দলীয় আনুগত্যের পুরস্কার! শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ হয়েও শুভেন্দু’র সঙ্গে দলত্যাগ করেননি। তাই, দল তাঁকে শুভেন্দু’র মর্যাদাপূর্ণ ‘আসন’ এ বসালো। জেলা শহর মেদিনীপুরে অবস্থিত বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংক (VCCB) এর চেয়ারম্যান পদে শুভেন্দু অধিকারী’র স্থলাভিষিক্ত হলেন প্রদীপ পাত্র। এতদিন তিনি ছিলেন ব্যাংক পরিচালন সমিতির (বোর্ডের) সম্পাদক পদে। প্রদীপ তৃণমূল কংগ্রেসের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক পদেও আছেন। অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও তিনি। সোমবার বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে প্রদীপ-কে চেয়ারম্যান হিসেবে বরণ করে নেন। সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে তাঁকে স্বাগত জানান তৃণমূলের মেদিনীপুর জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। সুজয় জানিয়েছেন, “স্থায়ী চেয়ারম্যানের অভাবে ব্যাংকের কাজ সঠিকভাবে হচ্ছিল না। রাজ্য নেতৃত্ব চেয়েছিল, অবিলম্বে পরিচালন সমিতির সদস্যরা স্থায়ী চেয়ারম্যান হিসেবে একজনকে মনোনীত করুক! তাই, যোগ্য ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিকেই সর্বসম্মতিক্রমে চেয়ারম্যান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি, প্রদীপ বাবুর নেতৃত্বে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এই সমবায় ব্যাংক সাফল্যের সাথে এগিয়ে যাবে। উপকৃত হবেন সমবায় আন্দোলনের শরিক কৃষক-শ্রমিক সহ আপামর জনসাধারণ।”

thebengalpost.net
প্রদীপ পাত্র’কে স্বাগত জানানো হলো জেলা তৃণমূলের তরফে :

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত প্রদীপ ছিলেন এই কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের সরকার মনোনীত সদস্য পদে।‌ হয়েছিলেন ব্যাংক পরিচালন সমিতির সম্পাদকও। সেই সময় শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন চেয়ারম্যান এবং সন্দীপ ঘোষ ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান। গত সেপ্টেম্বর মাসে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসে ব্যাংক পরিচালন সমিতির বাকি ১৪ জন সদস্যই শুভেন্দু-কে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গত ২ মাস ধরে অস্থায়ীভাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন সন্দীপ ঘোষ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে স্থায়ী চেয়ারম্যান হিসেবে একজন-কে বেছে নেওয়ার নির্দেশ আসে। জানা গেছে, রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব অভিজ্ঞ হিসেবে প্রদীপকেই চেয়েছিল। তাই, তাঁর নাম প্রস্তাবিত হওয়ার পরই, বোর্ড মেম্বাররা সর্বসম্মতিক্রমে সোমবার (১৫ নভেম্বর) প্রদীপ পাত্র’কে চেয়ারম্যান মনোনীত করেন। প্রদীপ জানান, “বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প কেউ নেই। তাঁর সৈনিক হিসেবে সাধারণ মানুষের স্বার্থে এই সমবায় ব্যাংককে সাফল্যের সাথে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।”