thebengalpost.in
রাত জেগে লাইন (শুক্রবারের ছবি) :

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ আগস্ট: আগের দিন সন্ধ্যাতেই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কতজন-কে কোন ডোজ (প্রথম অথবা দ্বিতীয়) ভ্যাকসিন দেওয়া হবে! জানানো হচ্ছে সরাসরি হাসপাতালের নোটিশ বোর্ডে, সমাজ মাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপে এবং স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে। সর্বোপরি, নতুন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক যোগদান করার পর থেকেই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “সকাল ৭ টা থেকে লাইনে দাঁড়ালেই হবে। একজন ব্যক্তিকে একটিই কুপন দেওয়া হবে।” তা সত্ত্বেও, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মতোই, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী গ্রামীণ হাসপাতালেও ভ্যাকসিনের জন্য আগের দিন সন্ধ্যা থেকেই লাইনে দাঁড়াচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ! বৃষ্টিতে ভিজে, রাত জেগে তাঁরা হাসপাতাল চত্বরেই কষ্ট করে সময় কাটাচ্ছিলেন। এর ফলে, অহেতুক ভিড় এবং চাপ- দুইই বাড়ছিল করোনা হাসপাতাল (সুপার স্পেশালিটি) সংলগ্ন এই গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরে। এছাড়াও, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না আসায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ তো আছেই! অবশেষে, শনিবার থেকে প্রশাসন এবং পুলিশের পক্ষ থেকে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে, সেই রাতভর জেগে লাইন দেওয়া আপাতত বন্ধ হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে, সকাল থেকেই কুপন সংগ্রহ করে সাধারণ মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন গত দু’দিন।

thebengalpost.in
এভাবেই জানিয়ে দেওয়া হয় আগের দিন সন্ধ্যাতেই :

thebengalpost.in
সোমবার প্রথম ডোজ দেওয়া হবেনা :

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শালবনীতে যোগদান করার পর থেকেই প্রতিটি বিষয়ে তৎপরতা দেখানোর সাথে সাথে, ভ্যাকসিনেশনের এই বিষয়টি নিয়েও হাসপাতালের BMOH ডাঃ মনোজিৎ বিশ্বাস, শালবনীবাসীর প্রতি সহযোগিতা-কামনা করে বারবার বার্তা দিয়েছেন, “নিয়ম অনুযায়ী, সম্পূর্ণ ভাবে স্বচ্ছতা বজায় রেখে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। আগের দিনই হেল্পলাইন নম্বর সমেত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হচ্ছে, পরেরদিন কতজনকে কোন ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তাই, অহেতুক রাত থেকে লাইন দেওয়ার প্রয়োজন নেই! সকাল ৭ টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে, কুপন সংগ্রহ করুন, যারা কুপন পাচ্ছেন না, তাঁরা ওইদিন বাড়ি ফিরে যান, পরেরদিন পুনরায় আসুন!” তা সত্ত্বেও গত কয়েকদিন ধরে, সাধারণ মানুষ রাত থেকে লাইন দিচ্ছিলেন ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য। ফলে হাসপাতাল চত্বরে অহেতুক বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছিল! এই পরিস্থিতিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় প্রশাসনের তরফে। বিএমওএইচ ডাঃ মনোজিৎ বিশ্বাস, বিডিও প্রণয় দাস এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিনু কোয়াড়ি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে, পুলিশ প্রশাসনকেও জানান। আইসি গোপাল বিশ্বাস তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। গত ২ দিন ধরে রাত জেগে লাইন দেওয়া বন্ধ হয়েছে! নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া, সন্ধ্যার পর হাসপাতালে চত্বরে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গেটে থাকছেন পুলিশ কর্মীরা। ফলে, শনিবার ও রবিবার শান্তিপূর্ণভাবেই টিকাকরণ কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে হাসপাতাল সূত্রে। এই বিষয়ে ডাঃ বিশ্বাস জানিয়েছেন, “মাননীয়া জেলাশাসক ড. রশ্মি কমল এবং আমাদের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত প্রতিটি বিষয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায়, হাসপাতালের সার্বিক উন্নয়নের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। ভ্যাকসিনেশন-ও চলছে সঠিকভাবে ও নিয়ম মেনে। এই বিষয়ে শালবনীর বিডিও, আইসি এবং পঞ্চায়েত সমিতির তরফে পূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে। যেভাবে ভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছে, তা দেওয়া হচ্ছে। অহেতুক রাত থেকে ভিড় না করে, সুস্থ ভাবে সকাল থেকে লাইন দিয়ে কুপন সংগ্রহ করুন। বয়স্ক ও প্রসূতিদের নিয়ে আসার আগে, হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে আসুন। ভ্যাকসিন যদি পর্যাপ্ত থাকে, আমরা তাঁদের দ্রুত দিয়ে দেব, আর না থাকলে ওইদিন অহেতুক নিয়ে আসার প্রয়োজন নেই।” উল্লেখ্য যে, সোমবার শালবনীতে প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে না। দ্বিতীয় ডোজ কোভিশিল্ড ৩০০ জন ও কোভাক্সিন ৫০- জনকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ মনোজিৎ বিশ্বাস।

thebengalpost.in
রাত জেগে লাইন (শুক্রবারের ছবি) :