দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ মে: খুব সামান্য কয়েকটা বিষয়ে ‘অমিল’ থাকলেও, দুই বন্ধুর মধ্যে ‘মিল’-ই বেশি। দু’জনই স্বাধীনতা সংগ্রামের ‘আঁতুড়ঘর’ হিসেবে পরিচিত ঐতিহাসিক মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র। মেদিনীপুর শহরের শরৎপল্লীর বাসিন্দা সৌম্যসুন্দর রায় উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় নবম স্থান অধিকার করেছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৯। শহরের প্রদ্যোৎনগর এলাকার বাসিন্দা সাগ্নিক পাত্র পেয়েছে ৪৮৮। সাগ্নিক দশম স্থান অধিকার করেছে। সাগ্নিক পঞ্চম শ্রেণী থেকেই মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র। মাধ্যমিকে পেয়েছিল ৬৭৭ নম্বর। সাগ্নিক অল্প কিছু নম্বরের জন্য মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় জায়গা না পেলেও, ৬৮৬ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় সপ্তম স্থান অধিকার করেছিল সৌম্যসুন্দর। তবে, সৌম্যসুন্দর দশম শ্রেণী অবধি পড়েছে এগরার জ্ঞানদীপ বিদ্যাপীঠে। সৌম্যসুন্দর ও সাগ্নিকের ফলাফলে উচ্ছ্বসিত স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হিমানী পড়িয়া সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। দু’জনই মেধাবী, মনোযোগী ও নম্র স্বভাবের বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে, শুধু আচার-আচরণেই নয় দুই বন্ধুর মধ্যে আরও অনেক বিষয়েই রয়েছে মিল। দু’জনেরই লক্ষ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স অ্যাডভান্সে ভালো র্যাঙ্ক করে যেকোন আইআইটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে পড়া। নবম স্থানাধিকারী সৌম্যসুন্দর অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েও দিয়েছে, আইআইটি (IIT) থেকে মহাকাশবিজ্ঞান সংক্রান্ত পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে ইসরো (ISRO)-র বিজ্ঞানী হতে চায় সে। সদ্য প্রকাশিত ‘জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেইন’ (JEE Main)-এ দু’জনেরই ফলাফল ভালো বা আশানুরূপ হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। এর পরের লক্ষ্য আগামী ১৮ মে-র জেইই অ্যাডভান্স (JEE Advance)।
সৌম্যসুন্দর ও সাগ্নিক দু’জনই জানায়, তারা উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফলের জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি নেয়নি। জয়েন্টের প্রস্তুতি ভালোভাবে নেওয়ার জন্যই উচ্চমাধ্যমিকেও এই সাফল্য এসেছে। উচ্চমাধ্যমিকে পঞ্চম স্থানাধিকারী (প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩) মেদিনীপুর শহরের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবনের ছাত্র বীরেশ ঘোষও ঠিক এমনটাই জানিয়েছে। তবে, সাগ্নিক ও সৌম্যসুন্দরের মধ্যে সবথেকে বড় মিল হল, দু’জনই পড়াশোনার বাইরে গল্পের বইয়ের পোকা! দু’জনের পছন্দও প্রায় কাছাকাছি। দু’জনই রহস্য, গোয়েন্দা, অপরাধমূলক ও আধুনিক উপন্যাস পড়তে ভালোবাসে। তবে, সৌম্যসুন্দরের সব থেকে বেশি ভালো লাগে সত্যজিৎ রায়ের লেখা। আর, সাগ্নিকের প্রথম পছন্দ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। গল্পের বই ছাড়াও দুজনেই সুযোগ পেলেই ক্রিকেট খেলে বলে জানিয়েছে। দু’জনের গ্রামের বাড়ি বা আদিবাড়িও প্রায় কাছাকাছি এলাকায়। সাগ্নিকের বাড়ি গোমুন্ডাতে (এগরার কাছে) এবং সৌম্যসুন্দরের বাড়ি সাউরিতে (এগরা থেকে খুব বেশি দূরত্ব নয়)। তবে, সৌম্যসুন্দর বড় হয়েছে আশ্রমিক পরিবেশে। সৌম্যসুন্দর বলে, “আমাদের বাড়িতেই রাধাকৃষ্ণের আশ্রম আছে। সারা বছর সেখানে নানা উৎসব-অনুষ্ঠান হয়। আমার বাবা-মা, কাকু-কাকিমা সকলেই সেখানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।” পড়াশোনা, খেলাধুলা, গল্পের বই ছাড়াও গান আর তবলাতেও পটু সৌম্যসুন্দর। সে জানায়, “এই গুণ আমি পেয়েছি আমার মায়ের কাছ থেকে। আমার মা (স্বপ্না রায়) খুব ভালো গান করেন। বাবা (দেবাশীষ রায়) আইনজীবী।” সাগ্নিক ও সৌম্যসুন্দর দু’জনই এক সুরে বলে, তাদের এই সাফল্যের পেছনে বাবা-মা ছাড়াও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং গৃহশিক্ষকদের অবদান অপরিসীম!
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ জুন: রবিবার (২২ জুন) দুপুর ঠিক ২টো ১…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ জুন: ১৯৭৮ সালের পর এমন ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ জুন: ৩০ টাকা প্রতি কেজি থেকে ৩ লক্ষ…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ১৭ জুন: গ্লিসারিন কারখানায় ওয়েল্ডিং- এর কাজ চলাকালীন ভয়াবহ বিস্ফোরণ!…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ জুন: ২০০৮ এর পর ২০২৫। দীর্ঘ প্রায় দুই…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ১৩ জুন: হাতির পালকে তাক করে ছোঁড়া হচ্ছে একের পর…