দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ জুলাই: “নিয়োগ দুর্নীতিতে যারা জড়িত, আদালত তাদের শাস্তি দিক। দল এই ধরনের অন্যায় বরদাস্ত করেনি, করবে না। প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়েকও রেয়াত করা হয়নি!” পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতার জেলা পরিষদ (৪৯ নম্বর)’র প্রার্থী তথা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির অন্যতম শীর্ষ নেতা শান্তনু দে-র প্রচারে এসে বৃহস্পতিবার সকালে ঠিক এমনটাই জানালেন রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র তথা তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য কমিটির কার্যকরী সভাপতি বিজন সরকার। সঙ্গে তিনি এও সংযোজন করেছেন, “নিয়োগ দুর্নীতির জট কাটিয়ে, আদালত সবুজ সংকেত দিলেই দ্রুত উচ্চ প্রাথমিক এবং প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে পুজোর আগেই। স্কুলগুলো সব ফাঁকা পড়ে আছে। নিয়োগ দুর্নীতির মামলা নিয়ে রাজনীতি না করে, অবিলম্বে আদালতের সবুজ সংকেত দেওয়া উচিত, যাতে প্রশিক্ষিত ও যোগ্য যুবক-যুবতীরা অবিলম্বে স্কুলে যোগদান করতে পারেন।” চলতি বছরেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন এসএলএসটি (New SLST)-র বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

thebengalpost.net
গড়বেতায় শিক্ষক শান্তনু দে-র প্রচারে বিজন সরকার সহ অন্যান্যরা :

রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র বিজন সরকার এও জানান, “গ্রাম বাংলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী যে উন্নয়ন করেছেন এবং লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজ সাথ, কৃষক বন্ধু-র মতো প্রকল্পে আপামর সাধারণ মানুষ হিসেবে উপকৃত হয়েছেন, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া অন্য কোন দলকে ভোট দেয়ার কথা চিন্তাই করবেন না সাধারণ মানুষ। জন্মালে শিশুসাথী, মৃত্যু হলে সমব্যথী। সবকিছুই করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।” অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ৪৯ নম্বর জেলা পরিষদের প্রার্থী তথা শিক্ষক নেতা শান্তনু দে বলেন, “গড়বেতা সহ গোটা জেলা এবং রাজ্য জুড়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে আপামর সাধারণ মানুষ খুশি। গত ৩৪ বছরের বাম শাসন মানুষ দেখেছেন। অশান্তি ছিল কিন্তু উন্নয়ন ছিলোনা। এখন রাস্তাঘাট পানীয় জলের সুব্যবস্থা থেকে শুরু করে প্রতিটি মানুষ যেভাবে হোক তাঁর প্রকল্পের দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। এলাকায় আছে শান্তি ও সম্প্রীতি। তাই, বিরোধীদের নিয়ে ভাবছি না। ব্যবধান নিয়ে ভাবছি।” তিনিও আশাবাদী, “জট কাটিয়ে অবিলম্বে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। মানবিক মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বঞ্চনা উপেক্ষা করে এবং সমস্ত ধরনের প্রকল্প চালিয়েও, সরকারি কর্মচারীদের DA দিয়েছেন। প্রয়োজন অনুযায়ী উনি আবারও ঘোষণা করবেন।” উল্লেখ্য, বিজন সরকার ছাড়াও জেলা পরিষদের প্রার্থী তথা শিক্ষক শান্তনু দে-র প্রচারে বুধবার এসেছিলেন তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য কমিটির কার্যকরী সভাপতি পলাশ সাধুখাঁ, শিক্ষক নেতা সঞ্জীব কোলে, অর্ঘ্য চক্রবর্তী প্রমুখ।

thebengalpost.net
প্রচারে শান্তনু দে :