দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ ফেব্রুয়ারি: ১২৩-তম বার্ষিক উরস উৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে বিশেষ ‘মৈত্রী’ ট্রেন শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে এসে পৌঁছল জেলা শহর মেদিনীপুরে। বাংলাদেশ থেকে ২২৫৬ জন পুণ্যার্থী এসেছেন এই ট্রেনে। এর মধ্যে ১৩২৯ জন পুরুষ, ৮৫৩ জন মহিলা এবং ৮৪ জন শিশু। এছাড়াও, বাসে, বিমানে করেও আরও কয়েকশ পুণ্যার্থী এসেছেন আন্তর্জাতিক এই উৎসব উপলক্ষে। তবে, শুধু বাংলাদেশের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ও দেশ-বিদেশের কয়েক হাজার পুণ্যার্থীদের সমাগমে এই ক’দিন পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহরের জোড়া মসজিদ প্রাঙ্গণ এক মহামিলন-মেলায় পরিণত হয়। শহর মেদিনীপুরও হয়ে ওঠে অন্যতম শ্রেষ্ঠ এক বাণিজ্যকেন্দ্রে!

thebengalpost.net
বাংলাদেশের পুণ্যার্থীদের স্বাগত জানানো হল মেদিনীপুর পৌরসভার তরফে:

প্রসঙ্গত, বুধবার রাত্রি ১০-টা নাগাদ বাংলাদেশ রাজবাড়ি স্টেশন থেকে ২২৫৬ জন পুণ্যার্থী নিয়ে এই বিশেষ ট্রেন মেদিনীপুর শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। শুক্রবার ভোর ৫-টা ৩৫ মিনিটে মেদিনীপুর স্টেশনে এসে পৌঁছয় এই ট্রেন। ফের রবিবার রাতে এই ট্রেন রওনা দেবে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে। রাত্রি ১০-টায় এই ট্রেন ছাড়ার কথা মেদিনীপুর স্টেশন থেকে। তার আগে বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ‘বড় হুজুর’ মাওলা পাকের উরস মেলা অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, ‘মাওলা পাক’ হজরত সৈয়দ শাহ মুর্শেদ আলি আল কাদেরির প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে এই উরস পালিত হয়। হজরত মহম্মদের ৩২-তম এবং সুফি সাধনার আদিগুরু ‘বড় পীর সাহেব’ হজরত আব্দুল কাদের জিলানির ১৯-তম বংশধর মওলা পাক ৪ ফাল্গুন প্রয়াত হন। ওই দিনে দেশ-বিদেশের মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁদের গুরুকে স্মরণ করেন। ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে বিশেষ ট্রেনে ধর্মপ্রাণ মানুষেরা মেদিনীপুরের পবিত্র জোড়া মসজিদ প্রাঙ্গণে আসেন বড় হুজুর মাওলা পাকের উরস উপলক্ষে। ১৯০২ সাল থেকে ভারত সরকারের উদ্যোগে এই বিশেষ মৈত্রী ট্রেন বাংলাদেশ থেকে আসে মেদিনীপুর শহরে।

thebengalpost.net
জোড়া মসজিদ প্রাঙ্গণ জমজমাট: