মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ অক্টোবর: “মদ্যপ আর ইভটিজারদের আমি কড়া বার্তা দিতে চাই। পুজোর সময় কোনভাবেই মাতলামো বরদাস্ত করা হবে না। একইসঙ্গে কেউ যদি মা-বোনেদের ইভটিজিং করেন, তাহলে আমার কাছে প্রায় ৬ ফুটেরই ডান্ডা আছে; একেবারে ঠান্ডা করে দেওয়া হবে! কোনভাবেই এসব আমরা বরদাস্ত করব না। আমি সহ আমার পুলিশ অফিসাররা মেদিনীপুর-খড়্গপুর শহরের উপর কড়া নজর রাখব। আমি নিজে বাইক নিয়ে ঘুরব!” সোমবার রাতে খড়্গপুর শহরের গোলবাজার দুর্গামণ্ডপে অনুষ্ঠিত চেক বিতরণ অনুষ্ঠান থেকে ঠিক এভাবেই কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। এর আগে, সন্ধ্যা নাগাদ মেদিনীপুর শহরের প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনের মঞ্চ থেকেও পুজো উদ্যোক্তা এবং সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার।
মেদিনীপুর শহরে পুজোর গাইড ম্যাপ উদ্বোধন এবং চেক বিতরণ অনুষ্ঠান থেকে জেলা পুলিশ সুপার বলেন, ” প্রতিটি পুজো কমিটিকে এন্ট্রি (ENTRY) গেট এবং এক্সিট (EXIT) গেট সম্পূর্ণ পৃথকভাবে তৈরি করতে হবে। এই গেট গুলি সহ প্রতিমা বা মন্ডপের সামনে অবশ্যই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর আবেদন জানাবো। জেলা পুলিশ আপনাদের সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে প্রয়োজনে ‘100’ ছাড়াও ‘112’ (শুধুমাত্র পুজোর সময়ের জন্য) ডায়াল করবেন। আমরা ৫ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাব। শহর মেদিনীপুর এবং খড়গপুর দুই জায়গাতেই SP ধৃতিমান সরকার যে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন, তা হল- “কোনভাবেই নিজেদের আনন্দের জন্য অন্যের বিপদ ডেকে আনবেন না!” পুলিশ সুপারের বার্তা, “দুর্গাপূজা বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের কথা বলা হয়েছে। আপনারা সবাই সেটা ভালোভাবে মনে রাখবেন!”