সমীরণ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ জানুয়ারি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের পুজো কার্নিভাল ইতিমধ্যে জগৎজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছে। পেয়েছে ইউনেস্কো (UNESCO)’র স্বীকৃতি ও সম্মানও। আর, তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ‘পুজো কার্নিভাল ২০২২’ পালিত হয়েছে জেলায় জেলায়। তাই, এবার আর শুধু দুর্গা পুজো নয়, ‘পুজো কার্নিভাল’ ও যেন হয়ে উঠেছে বাঙালির এক সর্বজনীন উৎসব। ঠিক এই পুজো কার্নিভালের ধাঁচেই এবার জঙ্গলমহলে শুরু হল ‘টুসু কার্নিভাল’ (Tusu Carnival)। কুড়মি সেনা (আবগা কুড়মি সেনা)’র উদ্যোগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জনজাতি অধ্যুষিত শালবনী ব্লকের ভীমপুর থেকে পিড়াকাটা পর্যন্ত শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে এই ‘টুসু কার্নিভাল’। কুড়মিদের নিজস্ব ভাষায় এর নাম দেওয়া হয়েছে- ‘ডহরে টুসু বেঢ়া’। শুক্রবার বেলা ১ টা নাগাদ শালবনী ব্লকের ভীমপুর থেকে শুরু হয় এই কার্নিভাল। লালগড়-পিড়াকাটা রাজ্য সড়ক দিয়ে এগিয়ে চলে এই কার্নিভাল বা ডহর টুসু বেঢ়া। বিকেল ৪ টা নাগাদ শেষ হয় পিড়াকাটাতে।
প্রসঙ্গত, ‘আবগা কুড়মি সেনা’র শালবনী ব্লক টুসু কমিটির উদ্যোগে এবারই প্রথম এই ধরনের টুসু কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হল বলে উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে। তাঁরা এও জানিয়েছেন, মূলত মকর সংক্রান্তির দিনই টুসু পরবে মেতে ওঠেন জঙ্গলমহলবাসী। তবে, ওই দিন সকলে নানা আচার-অনুষ্ঠান এবং পিঠে পার্বণ নিয়ে মেতে থাকেন বলেই তার ঠিক দু’দিন আগে, আজ (১৩ জানুয়ারি), শুক্রবার এই কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছে। অভিনব এই কার্নিভালে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন আদিবাসী কুড়মি সমাজের কয়েকশো আবালবৃদ্ধবনিতা। জঙ্গলমহলের প্রিয় ‘টুসু ঠাকুর’কে নিয়ে আয়োজিত গানে গানে রঙিন এই কার্নিভাল দেখতে রাজ্য সড়কের পাশে ভিড় জমিয়েছিলেন শয়ে শয়ে সাধারণ মানুষ। কার্নিভাল ঘিরে পিড়াকাটা পুলিশ পোস্টের তরফেও যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। উল্লেখ্য যে, টুসু উৎসব বা মকর পরব একটি লোক উৎসব, যা বাংলা অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিনে বা অগ্রহায়ণ সংক্রান্তির দিনে শুরু হয়, আর শেষ হয় পৌষ সংক্রান্তি বা মকর-সংক্রান্তির পুণ্য লগ্নে। টুসু এক লৌকিক দেবী। ‘কুমারী’ হিসেবে তাঁকে কল্পনা করা হয় বলে, প্রধানত কুমারী মেয়েরাই টুসু পূজার প্রধান ব্রতী ও উদ্যোগী হয়ে থাকে। যদিও, ব্যাপক অর্থে টুসু পরব বা টুসু উৎসব (Tusu Festival) হল বাংলার পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে শুরু করে ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম, পশ্চিম সিংভূম, সাঁওতাল পরগনা, ধানবাদ, সরাইকেল্লা খরসোয়া, রাঁচি ও হাজারিবাগ এবং ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ, সুন্দরগড়, কেন্দুঝর জেলার অন্যতম এক কৃষিভিত্তিক লোক উৎসব।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ জুন: বাঙালির ভাষা শিক্ষা আর নীতিশিক্ষার ভিত গড়ে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ জুন: গবাদি পশু (মহিষ) খুঁজতে বেরিয়ে দলছুট দাঁতালের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ জুন: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে পঞ্চায়েত…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ জুন: গত ১৯ এপ্রিল প্রকাশিত সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ জুন: ছুটিতেও ছুটি নেই তাঁর। গত কয়েকদিন ধরে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ মে: আদালতের নির্দেশে অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে আক্রান্ত…