দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ আগস্ট: বানভাসি ঘাটালের দুর্যোগের নানা চিত্র! কোথাও সেতু ভেঙে যাওয়ায় নদী পেরোনোর জন্য স্থানীয়ভাবে ‘রোপওয়ে’ আর ডিঙি তৈরি করে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার আবার কোথাও জলে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু। ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোনা-২ নং ব্লকের বান্দিপুর-১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগপোতা এলাকার একটি ভিডিও সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল (সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় অনলাইন) হয়েছে, যা দেখে রীতিমত চোখ কপালে তুলছেন নেটাগরিকরা (বা, সমাজ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা)! দেখা যাচ্ছে, বন্যার জলে ফুলেফেঁপে ওঠা শিলাবতী নদীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত অবধি বাঁধা হয়েছে দড়ি (গাছে)। তারপর স্থানীয়ভাবেই ডিঙি তৈরি করে, সেই দড়ি ধরে ধরে কোনমতে নদী পারাপার করছেন স্কুল পড়ুয়ারা। অস্থায়ী সেই ডিঙিও তৈরি করা হয়েছে জলের ড্রামের উপর বাঁশের পাটাতন বসিয়ে। কাজেই ছেলেমেয়েদের দ্রুত স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই পুরো ব্যবস্থাটা গ্রামবাসীরা নিজেরাই তৈরি করেছেন বলে জানান ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও-তে। যদিও তাতে যে জীবনের ঝুঁকি আছে, তা মানছেন এলাকাবাসী থেকে পড়ুয়ারা! এনিয়ে চন্দ্রকোনা-২ নং ব্লকের বিডিও উৎপল পাইক বলেন, “ওখানে একটি বাঁশের সাঁকো ছিল। বন্যার জলের তোড়ে তা ভেঙে গিয়েছে। জল কমলেই সেতু তৈরি করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে, এইভাবে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াতের কোনও প্রয়োজন নেই। একটু ঘুরে পাকা রাস্তা দিয়েই আসা ভালো। আমরা গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলব।” যদিও, পড়ুয়ারা বলে, ঘুরপথে গেলে তাদের স্কুলে বা টিউশনে পৌঁছতে অনেক দেরি হয়ে যাবে, তাই এই ব্যবস্থা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। (ভিডিও খবরের নিচে।)

thebengalpost.net
নদীতে ঝুঁকির যাতায়াত:

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):

অন্যদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ প্লাবিত ঘাটালের শ্যামপুর এলাকার ২নং চাতালে একটি মৃতদের উদ্ধার করে পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। মৃত ব্যক্তির নাম রাজীব সিংহ রায়। বয়স আনুমানিক ৪৫। পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঘাটালের অজবনগর এলাকার ওই বাসিন্দা এদিন অতিরিক্ত মদ্যপান করেছিলেন। আর সেই কারণেই শরীরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জলে তলিয়ে যান। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে খোঁজাখুঁজির পর তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এনিয়ে ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, “এই ঘটনাটিকে আমরা বন্যার জলে তলিয়ে মৃত্যু বলতে পারবনা। যে জায়গায় উনি তলিয়ে যান, সেখানে এক হাঁটুর একটু বেশি জল ছিল। উনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান। তারপর আর উঠতে পারেননি!” স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ওই ব্যক্তি নিয়মিত মদ্যপান করতেন, এটা যেমন ঠিক; তেমনই ওই জায়গাতে এক হাঁটু নয়, প্রায় এক কোমর জল ছিল, এটাও ঠিক!