thebengalpost.net
আইআইটি খড়্গপুর (IIT Kharagpur) :

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ জানুয়ারি: আইআইটি খড়্গপুরের ৩০ জন‌ পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সবেমাত্র বি.টেকের কিছু পড়ুয়া হোস্টেলে ফিরছিলেন। এছাড়াও, আরও কিছু পড়ুয়া আগে থেকেই হোস্টেলে ছিলেন। তাঁদের মধ্যেই ৩০ জন পড়ুয়া’র রিপোর্ট পজিটিভ বলে সূত্রের খবর।‌ এক আধিকারিক সহ সবমিলিয়ে সংখ্যাটা ৩১ বলে জানা গেছে। যদিও, জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ১ জানুয়ারি’র রিপোর্ট অনুযায়ী মাত্র ৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। তাঁরা যথাক্রমে- এক্সিকিউটিভ বাংলো, জেবিসি এবং বি- ১৪১ এর আবাসিক। সম্ভবত আরও ২৭-২৮ জনের রিপোর্ট ৩ জানুয়ারি অর্থাৎ আজ সন্ধ্যার রিপোর্টে মিলতে পারে বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। আইআইটি’র রেজিস্ট্রার ড. তমাল নাথ এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “কর্মী এবং পড়ুয়া নিয়ে মোট ৩১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের আলাদা রাখা হয়েছে। তবে ভয়ের কিছু নেই। সকলেরই চিকিৎসা চলছে। কারও শরীরে উপসর্গ থাকলেই তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করানো হচ্ছে”। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা জানিয়েছেন, “আমরা আইআইটি সূত্রে শুনেছি। এও শুনেছি, ওনারা একটি হোস্টেলে আক্রান্তদের আলাদা করে রেখেছেন। আমরা অফিসিয়ালি রিপোর্ট হাতে পেলে, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।”

thebengalpost.net
আইআইটি খড়্গপুর (IIT Kharagpur) :

অন্যদিকে, গত চব্বিশ ঘণ্টায় পশ্চিম মেদিনীপুরে মাত্র ১৫ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে, খড়্গপুর শহরের ইন্দা (৩) সহ শহরে ৪ এবং গ্রামীণে ১ জন, মেদিনীপুর শহরে ৫ জন এবং ঘাটাল মহকুমায় ৩ জন‌ আক্রান্ত হয়েছেন। গোয়ালতোড় ও বেলদায় ১ জন করে সংক্রমণ হয়েছেন। গত চব্বিশ ঘণ্টায় জেলায় করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে, জেলায় করোনা শয্যা ফের বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রশাসন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শালবনী সুপার স্পেশালিটি, ডেবরা সুপার স্পেশালিটি পুনরায় করোনা হাসপাতালে পরিণত হচ্ছে। এছাড়াও, মেদিনীপুর মেডিক্যাল ও ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালেও করোনা শয্যা প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়ানো হবে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা এনিয়ে জানিয়েছেন, “শয্যা বাড়ানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, যদিও এই মুহূর্তে মাত্র ২ জন করোনা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আক্রান্তরা বেশিরভাগ উপসর্গহীন। এজন্য, প্রতি ব্লকে সেফ হোম চালু করা হবে।”