দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ৭ জানুয়ারি:’প্রতারণার ফাঁদ পাতা ভুবনে’ আবারো প্রতারিত রাজ্যের অসংখ্য মানুষ। সারদা, রোজ ভ্যালি, অ্যালকেমিস্ট থেকে জি-নেট, এমনই নানা ধরনের সব চিটফান্ডের খপ্পরে পড়েও, ফের একই ভুল করে চলছেন সাধারণ মানুষ! দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা পূরণ করতে কিংবা অল্প পরিশ্রমে আর স্বল্প সময়ে অধিক ইনকামের লোভে পড়ে পুনরায় প্রতারিত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। ২০১৬ সাল থেকে বাজারে আসা ফ্রিডম গ্রুপের অধীন ফ্রিডম মোটরসের খপ্পরে পড়ে যেমন লক্ষ লক্ষ টাকা জলে পড়ল রাজ্যের কয়েকশো সাধারণ মানুষের! সেই তালিকায় আছেন রেল শহর খড়্গপুরেরই শতাধিক বাসিন্দা। প্রতারিত হয়ে অবশেষে তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। খড়্গপুর টাউন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শুক্রবার। যদিও, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারুইপুর (উকিলপাড়া) এর বাসিন্দা তথা ফ্রিডম গ্রুপের মালিক ‘প্রতারক’ দেবদূত ভট্টাচার্য সপরিবারে ‘পগারপার’ হয়ে গেছেন ইতিমধ্যে!
খড়্গপুরের প্রতারিতদের অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৬ সালে রাজ্যের প্রথম সারির বেশকিছু দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে উৎসাহিত হন খড়্গপুরের বাসিন্দারা। বিজ্ঞাপনে উল্লেখ ছিল, স্বল্প ইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে ওলা/উবেরে (OLA/ UBER) গাড়ি দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন। যোগাযোগ করলে তাঁরা জানতে পারেন, আড়াই লক্ষ (২.৫ লক্ষ) টাকা করে গাড়ি বাবদ দিতে হবে। সেই গাড়ি দেওয়া হবে ওলা/উবের কোম্পানিকে। তার বিনিময়ে মাসে মাসে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বিনিয়োগকারীকে। বাকি গাড়ির সমস্ত খরচাপাতি করবে ফ্রিডম কোম্পানি। গাড়ির মালিককে দেওয়া হবে একটি পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি। এভাবেই গোটা রাজ্য জুড়ে চলতে থাকে ব্যবসা। জন পিছু আড়াই লক্ষ টাকা করে তোলা শুরু হয়!
খড়্গপুর শহরের প্রায় ১০০ জনের বেশি মানুষ এতে বিনিয়োগ করেছে বলে জানা গেছে। ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয় ব্যবসা। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত যাঁরা ইনভেস্ট করেছিলেন, তাঁরা মাসে মাসে ১০ হাজার টাকা করে পেয়েও যাচ্ছিলেন। তবে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কোভিড আসার পর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় ‘ব্যবসা’! মাসে মাসে ১০ হাজার টাকা দেওয়াও বন্ধ হয়! এভাবেই কাটে ২ বছর। ২০২২ সালে এসে দেবদূত ভট্টাচার্য জানান, কোভিডের সময় গাড়ি চলেনি। তাই, ইএমআই দেওয়ার মতো আয় হয়নি। সব গাড়ি ফাইনান্স কোম্পানি টেনে নিয়েছে! তিনি টাকা ফেরত দেবেন, তবে একটু সময় লাগবে। ২০২২-এর ২৯ ডিসেম্বর থেকে তিনি কিছু কিছু করে ফেরত দেবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন। অভিযোগ, গত ২৮ ডিসেম্বর (২০২২) থেকে সপরিবারে উধাও হয়ে যান দেবদূত ভট্টাচার্য। সবগুলি মোবাইল নম্বরই বন্ধ! কলকাতার বিলাসবহুল ফ্ল্যাটেও পড়েছে তালা। নিরাপত্তারক্ষীরা জানিয়েছেন, ব্যাগ-বোচকা নিয়ে দেবদূত ভট্টাচার্য কোথাও চলে গেছেন! অগত্যা বাধ্য হয়েই পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছেন প্রতারিতরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, কেউ আড়াই লক্ষ টাকা আবার কেউ ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রতারিত হয়েছেন! আর পাঁচটা চিটফান্ডের মতোই প্রথম দিকে যাঁরা ইনভেস্ট করেছিলেন তাঁদের টাকা উঠে গেলেও, পরের দিকে উৎসাহিত হয়ে যাঁরা ইনভেস্ট করেছিলেন, তাঁরা সর্বস্বান্ত হয়েছেন! এই তালিকায় আছেন খড়্গপুর শহরের প্রতারিত বাসিন্দা শুভ চক্রবর্তী, দেবারতি মিত্র, পিউ দোলইরাও। তাঁরা ‘সুবিচার’ চেয়ে টাউন থানাতে শুক্রবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অন্যদিকে, কসবা নরেন্দ্রপুর সহ কলকাতার বিভিন্ন থানাতেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে প্রতারক দেবদূত ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তাঁর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী দেবলীনা ভট্টাচার্য, জয় প্রকাশ আর্য সহ আরো অনেকে যুক্ত ছিলেন। পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রেলশহর খড়্গপুরে!
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ জুন: বাঙালির ভাষা শিক্ষা আর নীতিশিক্ষার ভিত গড়ে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ জুন: গবাদি পশু (মহিষ) খুঁজতে বেরিয়ে দলছুট দাঁতালের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ জুন: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে পঞ্চায়েত…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ জুন: গত ১৯ এপ্রিল প্রকাশিত সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ জুন: ছুটিতেও ছুটি নেই তাঁর। গত কয়েকদিন ধরে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ মে: আদালতের নির্দেশে অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে আক্রান্ত…