দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ ফেব্রুয়ারি: সাত সকালেই গলার নলি কাটা, রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে থাকা যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ। মৃতদেহের পাশেই পড়ে ছিল মদের বোতল, রক্ত লেগে থাকা বড় পাথর! পকেট থেকে উদ্ধার হয়েছে সামান্য কিছু টাকা-পয়সাও। মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ খড়্গপুর গ্রামীণের বেনাপুর সংলগ্ন রাই কিশোরী এলাকায় রাজ্য সড়কের পাশে জমি থেকে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। তবে, বিকেল ৩টা পর্যন্ত যুবকের নাম ও পরিচয় উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান, ওই এলাকায় যুবককে ডেকে এনে খুন করা হয়েছে! পুলিশের তরফে এই বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খড়্গপুর লোকাল থানার পুলিশ।
জানা যায়, এদিন সকালে রাজ্য সড়কের পাশে জমিতে বছর ৩০-৩৫’র এক যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। দ্রুত ঘটনাস্থলে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। যুবকের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে, পুলিশের তরফে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই যুবককে খুন করা হয়েছে। তার গলার নলি কাটা ছিল। একইসঙ্গে, খুনের পর ভারি পাথর দিয়ে মুখে আঘাত করা হয় বা মুখ থেঁতলে দেওয়া হয় বলেও দাবি। রক্তে ভেসে যায় ওই স্থানটি। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যুবক ওই এলাকার বাসিন্দা না হলেও, দ্রুত তার নাম-পরিচয় উদ্ধার করে ‘রহস্যের’ কিনারা করা হবে বলে পুলিশের একটি সূত্রে জানানো হয়েছে।
আপডেট: রাত্রি ৮টা নাগাদ পুলিশ সূত্রে জানা গেছ, মৃত যুবকের নাম টিঙ্কু প্রামানিক(৩৭)। বাড়ি মেদিনীপুর শহরের মির্জাবাজার এলাকায়। যুবক পাথরের কাজ করতেন বলে জানা গেছে। একটি বছর আটের কন্যাসন্তান আছে। কিছুদিন যাবত স্ত্রী, কন্যাকে নিয়ে খড়্গপুর লোকাল থানা এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে (স্ত্রী’র বাপের বাড়িতে) থাকছিলেন। মঙ্গলবার ভোরে কাজে বেরিয়ে খুন হন! এদিকে যুবকের স্ত্রী সকাল সকাল মেদিনীপুর শহরে নিজের শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে যান। তারপর খবর পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন! প্রাথমিক অনুমান, এই খুনে স্ত্রী’র যোগ থাকতে পারে। স্ত্রী’র পরকীয়ার কারণে খুন হতে পারেন যুবক!