দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ আগস্ট: কোভিশিল্ড (Covishield) বা কোভাক্সিন (Covaxin), ভ্যাকসিন তো নিচ্ছেন; কিন্তু কতদিন পর শরীরে তৈরি হচ্ছে প্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডি? এবার সেই সেরো-সমীক্ষা (Serosurveillance) ই শুরু হচ্ছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। কলেজের মাইক্রোবায়োলজি (Microbiology) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (HOD) ডাঃ পার্থসারথি সতপথি’র নেতৃত্বে এই সমীক্ষা চালাবেন বিভাগীয় চিকিৎসক ও জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি দল। এই দলের অন্যতম সদস্যা ডাঃ সায়ন্তনী দত্ত জানিয়েছেন, “দ্বিতীয় ডোজ সম্পূর্ণ করা ৮০০ জনের উপর এই সমীক্ষা করা হবে। দুটি ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অন্তত তিন মাস (৯০ দিন) হয়ে গেছে, এরকম ৮০০ জনকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে।” স্বভাবতই, এই তালিকায় থাকছেন স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম শ্রেণীর করোনা যোদ্ধারা। এও জানা গেছে, ৪০০ জন কোভিশিল্ড নেওয়া এবং ৪০০ জন কোভাক্সিন নেওয়া ব্যক্তিকে বেছে নেওয়া হবে। ফলে, কোন ভ্যাকসিন এর কার্যকারিতা বেশি, তাও উঠে আসবে এই সমীক্ষায়।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ পার্থসারথি সতপথি এও জানিয়েছেন, “৮০০ জন (প্রয়োজন হলে ৯০০ জন) এর নমুনা আমরা পাঠিয়ে দেব ‘ভুবনেশ্বর ইনস্টিটিউট অফ লাইফ সায়েন্স’ (Bhubaneswar Institute of Life Science) এ। ৮০০ জনের তালিকায় একদিকে যেমন থাকবে সুস্থ-সবল ব্যক্তিরা, তেমনই থাকবেন বিভিন্ন কো-মর্বিডিটিস থাকা ব্যক্তিরাও।” স্বভাবতই, কাদের শরীরে করোনা ভ্যাকসিন কিভাবে কাজ করছে, তৃতীয় ঢেউয়ের আগে এই সম্বন্ধে একটি সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেরো-সমীক্ষায়। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ পঞ্চানন কুন্ডু জানিয়েছেন, “গত বছরও (২০২০) এই সময়ে ডাঃ সতপথি এবং জেলার তৎকালীন উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গীর নেতৃত্বে একটি সেরোসার্ভিলেন্স করা হয়েছিল। সংক্রমিত এলাকায়, কত শতাংশ মানুষের শরীরে নিজেদের অজান্তেই করোনা ভাইরাস প্রবেশ করেছিল, সেই বিষয়ে করা হয়েছিল সেরো-সমীক্ষা। গড়ে ৪-৫ শতাংশ এসেছিল সেই রেজাল্ট। সারা রাজ্য তথা দেশে প্রশংসিত হয়েছিল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য ভবনের সেই উদ্যোগ।”