দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ অক্টোবর: দুধ ও ছানার দাম বাড়াতে হবে, এই দাবিতে বুধবার থেকে ‘আন্দোলন’ শুরু করেছেন ছানা ও দুগ্ধ ব্যবসায়ীরা। ছানা সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রেখে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তথা মেদিনীপুর শহরের মিষ্টি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তীব্র ‘অসহযোগিতা’ শুরু করেছেন তাঁরা। ফলে বুধবার (১১ অক্টোবর) থেকেই শহর থেকে উধাও হয়ে গেছে রসগোল্লা, কালাকাঁদ, কাঁচাগোল্লা, রসমালাই সহ ছানা ও ক্ষীরের তৈরী বিভিন্ন মিষ্টি। একদিকে যেমন পুজোর আগে চরম সমস্যায় পড়েছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা; ঠিক তেমনই এই সমস্ত মিষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মেদিনীপুরবাসী। বৃহস্পতিবার তাই মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতি’র মেদিনীপুর শাখার তরফে এই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিক বৈঠক করা হয়।
উল্লেখ্য যে, বছরখানেক আগেই ছানার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফের এবার পুজোর আগে কেজি প্রতি ছানার দাম ৪০ টাকা এবং দুধের দাম ৮ টাকা বৃদ্ধির দাবিতে অনড় দুগ্ধ ব্যবসায়ী বা ছানা ব্যাবসায়ীরা। কিন্তু, এই মুহূর্তে তা কোনভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মতে, প্রতি বছর এভাবে দুধ ও ছানার দাম বৃদ্ধির দাবি অনৈতিক! বিশেষত, এক ধাক্কায় ছানা ও দুধের দাম যথাক্রমে কুইন্টাল প্রতি চার হাজার টাকা ও আটশো টাকা বৃদ্ধি করা কোনোমতেই সম্ভব নয়। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর শহরে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির মেদিনীপুর শাখার তরফে জানানো হয়েছে, “প্রয়োজনে আমরা পুজোর পর ওঁদের সাথে আলোচনা করে সামান্য দাম বৃদ্ধির বিষয়ে এগোতে পারি। তার আগে এরকমভাবে অসহযোগিতা করলে আমরা প্রথমে জেলা প্রশাসন ও পরে নবান্নের দ্বারস্থ হব।” তাঁদের এও দাবি, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ছাড়া অন্য কোথাও দুধ ও ছানার দাম এত বেশি নয়। অন্যদিকে, ছানা ব্যাবসায়ীদের অনড় মনোভাবে এই মুহূর্তে ‘রসগোল্লা-হীন’ মেদিনীপুর। পুজোর সময়ে কি হবে? আশঙ্কার কালো মেঘ দেখা দিয়েছে মেদিনীপুরের মিষ্টি-আকাশে!