দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ ডিসেম্বর: শেষ রক্ষা হলো না! রবিবার রাত্রি ৯টা ১০ মিনিটে মৃত্যু হল মেদিনীপুর শহর লাগোয়া ঝর্ণাডাঙা (বা, কালগাঙ)-র বাসিন্দা বছর ১৩’র কিশোরী সুপ্রিয়া রায়ের। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভেন্টিলেশন (বা, HDU) ওয়ার্ডে কিশোরীর মৃত্যু হয় বলে পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। এরপরই, ভুল চিকিৎসায় তাঁদের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তুমুল বিক্ষোভ দেখান রোগীর পরিজনেরা। বিক্ষোভ সামলাতে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পৌঁছন মেদিনীপুর কোতোয়ালী থানার আইসি সহ পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনার খবর পেয়েই রাত্রি সাড়ে ৯-টা নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছে যান মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান, জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা রোগী সহায়তা কেন্দ্রের সম্পাদক সুজয় হাজরা, বিধায়ক দীনেন রায় প্রমুখ। তাঁদের সামনেই ঘন্টাখানেক ধরে চলে বিক্ষোভ! তাঁদের অভিযোগ, ভুল অস্ত্রপচার এবং চিকিৎসার গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে কিশোরীর। অপরদিকে, হাসপাতালের একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, রোগীর শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা একেবারেই কম (3.5) ছিল। তাই, অস্ত্রপচারের পরই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যু হয় বছর ১৩’র কিশোরীর!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মেদিনীপুর শহর লাগোয়া ঝর্ণাডাঙা (বা, কালগাং) এলাকার বাসিন্দা গোবিন্দ রায় শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ পেটের যন্ত্রণায় কাতর মেয়েকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেন। অভিযোগ, নতুন করে কোন টেস্ট না করেই, পুরানো একটি USG-র ভিত্তিতেই রাত্রি এগারোটা নাগাদ সুপ্রিয়া-র অ্যাপেন্ডিক্স (Appendix) অপারেশন করা হয়। ফের শনিবার সকালের দিকে আরও একটি অপারেশন করা হয় বলে অভিযোগ সুপ্রিয়া’র মা রিঙ্কু রায়, মাসী প্রতিমা প্রামাণিক প্রমুখের। আর তারপর রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায়, গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। এরপর, প্রথমে আইসিইউ ও পরে ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয় বলে দাবি পরিবারের। রবিবার ভোরে পরিবারের সদস্যদের জানানো হয় মেয়ের শারীরিক অবস্থা সংকটজনক! আর তারপর থেকেই ভুল চিকিৎসার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যরা। রবিবার সকালে ঝাড়গ্রামের একটি পরিবারের আশঙ্কাজনক রোগীদের (গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত) দেখতে এসেছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। সেই সময় মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে তাঁর পা জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটিও করেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের একটাই আর্জি, মেয়েকে সুস্থ ফিরিয়ে দিতে হবে। যদিও শেষ রক্ষা হলো না! ভেন্টিলেশনেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় কিশোরীর।
প্রতিবেশী ও পরিজনদের একাংশের দাবি, ভুল অস্ত্রপচার ছাড়াও সিনিয়র চিকিৎসকদের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে কিশোরীর। তাঁদের প্রশ্ন, রোগীর (সুপ্রিয়া রায়ের) শরীরে যে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম আছে, তা অস্ত্রপচারের আগে দেখা হয়নি কেন? শরীরে আর কোন জটিলতা আছে কিনা তাও বা দেখা হয়নি কেন? রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা টেস্ট না করেই অপারেশন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। তাঁরা এও দাবি করেছেন, “হাতে গোনা কয়েকটি ওয়ার্ড (শিশু ওয়ার্ড সহ কয়েকটি) ছাড়া মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কখনোই সিনিয়র চিকিৎসকদের দেখা পাওয়া যায় না!” এই বিষয়ে হাসপাতালের বর্তমান অধ্যক্ষের (Principal) কোন নজর নেই বলেও অভিযোগ প্রতিবেশী ও পরিজনদের। ইতিমধ্যে, পরিবারের তরফে চিকিৎসায় গাফিলতির লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক তথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতেই সোমবার দুপুরে কিশোরীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ জুন: রবিবার (২২ জুন) দুপুর ঠিক ২টো ১…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ জুন: ১৯৭৮ সালের পর এমন ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ জুন: ৩০ টাকা প্রতি কেজি থেকে ৩ লক্ষ…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ১৭ জুন: গ্লিসারিন কারখানায় ওয়েল্ডিং- এর কাজ চলাকালীন ভয়াবহ বিস্ফোরণ!…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ জুন: ২০০৮ এর পর ২০২৫। দীর্ঘ প্রায় দুই…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ১৩ জুন: হাতির পালকে তাক করে ছোঁড়া হচ্ছে একের পর…