দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ আগস্ট: পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শহর মেদিনীপুরের বাসিন্দা। তাও অন্ধকারে কেটেছে গত ১৯ বছর! অবশেষে, এলাকার নানা সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা মিটিয়ে এলাকাবাসী, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব আর বিদ্যুৎ দপ্তরের তৎপরতায় আলো জ্বললো মেদিনীপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের চিড়িমারসাই এলাকার ঝাড়েশ্বর ভকতের বাড়িতে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয় বিদ্যুৎ দপ্তর। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। বাড়ির গৃহবধূ ১০ দিনের কন্যা সন্তান কোলে নিয়ে, প্রাণ ভরে ধন্যবাদ জানালেন তাঁদের!
প্রসঙ্গত, এই এলাকায় ১৯ বছর আগে বাড়ি তৈরি করলেও, জমির বিভিন্ন সমস্যার জেরে নিজের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে পারেননি ঝাড়েশ্বর বাবু। বহুবার এলাকার কাউন্সিলর, পৌরসভা এবং বিদ্যুৎ দপ্তরে আবেদন-নিবেদন করেও কোন লাভ হয়নি! এমতাবস্থায় একপ্রকার বিদ্যুৎ পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন ঝাড়েশ্বর বাবু। অবশেষে, ১৯ বছর পর ঝাড়েশ্বরের ছেলে সঞ্জয় ভকত দ্বারস্থ হন ১৪ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে। তৃণমূল নেতৃত্ব ভগৎ পরিবারকে আশ্বস্ত করেন, বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। অবশেষে, প্রতিবেশীদের সহযোগিতায়, পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এবং শহর তৃণমূল নেতৃত্বের উদ্যোগে শুক্রবার ভকত পরিবারে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয় বিদ্যুৎ দপ্তর।
জেলা শহরের বাসিন্দা হয়েও, ঘরের ভেতর বৈদ্যুতিক আলো দেখতে পেলেন ১৯ বছর পর! সঞ্জয় ভকত জানালেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সর্বদা অসহায় মানুষদের পাশে থাকেন, তা আরও একবার তৃণমূল নেত্রীর আদর্শে অনুপ্রাণিত এই এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকরা প্রমাণ দিলেন।” ১০ দিনের কন্যা সন্তান কোলে নিয়ে সঞ্জয়ের স্ত্রী ভারতী বললেন, “বছরের পর বছর অন্ধকারে ছিলাম! অবশেষে, আজ বিদ্যুতের আলো ও পাখার বাতাস অনুভব করলাম এই বাড়িতে। শুধু আমরা নয়, আমার এই ১০ দিনের কন্যাও খুব খুশি! গরমে ওর খুব কষ্ট হচ্ছিল।” আর এসবের জন্য সঞ্জয় ভকতের পরিবার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবেন বলেও জানালেন। অন্যদিকে, অসহায় ও দরিদ্র এই পরিবারে দীর্ঘ ১৯ বছর পর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দিতে পেরে আনন্দিত এলাকার তৃণমুল ওয়ার্ড সভাপতি বরুন বোস, সম্পাদক সন্তু পাল সহ অন্যান্যরা। তাঁরা জানান, “দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা এই অসহায় পারিবারের পাশে দাঁড়াই এবং তার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করি।”