দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ ডিসেম্বর: মেদিনীপুর শহরের স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ কাঞ্চন ধাড়া-র জামিনের আবেদন নিয়ে দফায় দফায় নাটক! বুধবার অন্তর্বর্তী জামিন দিলেও, মেদিনীপুর আদালত বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সেই জামিন নাকচ করে তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে (১১ জানুয়ারি পর্যন্ত) পাঠিয়েছে। এরপর, আজ শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর)-ও তিনি জামিনের আবেদন করেন মেদিনীপুর জেলা আদালতে। তবে, দীর্ঘক্ষণ শুনানি শেষে সন্ধ্যা নাগাদ জামিন নাকচ করে দেন মেদিনীপুর আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

thebengalpost.net
শুক্রবার মেদিনীপুর আদালতে :

প্রসঙ্গত, চলতি বছর (২০২৩) সেপ্টেম্বর মাসে মেদিনীপুর শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে (নার্সিংহোমে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় দিপালী খামরুই (৫২) নামে এক মহিলার। তাঁর জরায়ু-র অপারেশন বা অস্ত্রপচার করেছিলেন ডঃ কাঞ্চন ধাড়া। অভিযোগ, অস্ত্রপচারের পরই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে ওই রোগিনীর। শেষমেষ গোটা শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়ে বা সেপ্টিসেমিয়া-তে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই, চিকিৎসায় গাফিলতি বা ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয় মৃতার পরিবার। কোতোয়ালী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার স্বামি স্বপন খামরুই। সেই মামলাতেই বুধবার মেদিনীপুর আদালতে একদিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন চিকিৎসক কাঞ্চন ধাড়া। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানির সময় আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রভাবশালী চিকিৎসক প্রভাব খাটাতে পারেন মামলায়। প্রভাবিত হতে পারেন সাক্ষীরা। এই কারণেই জামিন না-মঞ্জুর করে দেন মেদিনীপুর আদালতের সিজিএম। ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত অর্থাৎ ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এরপরই শুক্রবার মেদিনীপুর আদালতে নতুন করে জামিনের আবেদন জানানো হয় চিকিৎসক কাঞ্চন ধাড়া এবং মেদিনীপুর শহরের অন্যান্য চিকিৎসকদের তরফে।

প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে সাওয়াল-জবাব শেষে শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ ফের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক! আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ জানুয়ারি এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ওই দিন মৃতার ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফিক রিপোর্ট তলব করা হয়েছে আদালতের তরফে। তবে, চিকিৎসকের গ্রেপ্তারি ও জামিনের আবেদন ঘিরে যেভাবে দফায় দফায় নাটক চলছে তা রীতিমতো নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন মেদিনীপুর আদালতের আইনজীবীরা।

thebengalpost.net
জামিন নাকচ করল আদালত: