দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ জানুয়ারি: সুদূর বারাণসী (কাশী) থেকে এসেছেন ১০ জন পুরোহিত। মকর সংক্রান্তির পুণ্য সন্ধ্যায় কংসাবতী নদীবক্ষে তাঁরা ‘গঙ্গা আরতি’-ও করলেন ঠিক কাশীধামের মতোই। সবমিলিয়ে মেদিনীপুর শহরের গান্ধীঘাট সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় যেন হয়ে উঠেছিল এক টুকরো বারাণসী (Varanasi)। মেদিনীপুর পৌরসভার উদ্যোগে সোমবার পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়েছিল। আর, এই ‘গঙ্গা আরতি’ বা সন্ধ্যারতি দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।

এর আগে, সোমবার দুপুরে জেলা শহর মেদিনীপুরের উপকন্ঠে ঐতিহাসিক গান্ধীঘাটে (১৯৪৮’র ১২ ফেব্রুয়ারি মহাত্মা গান্ধীর চিতাভস্ম ভাসিয়েছিলেন বিপ্লবীরা) নবরূপে উদ্বোধন করা হয় রাম-সীতা-হনুমানজীর মন্দিরের। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক জুন মালিয়া, মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান প্রমুখ। যদিও, পৌরসভার অর্থে এই মন্দির নির্মাণ নিয়ে শহরের আনাচে-কানাচে এখনও নানা ‘বিতর্ক’ চলেছে। তবে তার মধ্যেই মন্দির উদ্বোধন হয়। কটাক্ষ করে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাম নিয়ে তৃণমূল দ্বিচারিতা বন্ধ করুক!” পাল্টা জুন শুনিয়েছেন, “রাম দিলীপ দা’র একার নয়। আমাদের দিদি বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার! আর উনি বোধহয় জানেন না, এখানে মন্দির একটা ছিলোই। তা আম্রুত প্রকল্পের কাজের সময় স্থানান্তরিত করা হয়। সেটাই নতুনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে।”