দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ জুলাই: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আগত এক রোগীর আত্মীয়কে মাদক খাইয়ে সর্বস্ব লুট করে চম্পট দিল দুষ্কৃতী! এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠলো শনিবার। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে। হৃষিকেশ ওঝা নামে সবং থানা এলাকার এক ব্যক্তির অভিযোগ অনুযায়ী, স্ত্রী’কে চিকিৎসার জন্য তিনি মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করেন। শুক্রবার রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে ‘মাতৃমা’ বিভাগের বাইরে ঘুমোনোর সময় এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি তাঁকে জলের বোতলে গ্লুকোজ বা গ্লুকন্ডির গুলে এনে খাওয়ায়। খাওয়ার সাথে সাথে হৃষিকেশ অচৈতন্য হয়ে পড়েন। শনিবার সকালে তিনি দেখেন তাঁর কাছে থাকা প্রায় ১৮ হাজার টাকা ও মোবাইল লুট হয়ে গেছে! এরপর তিনি কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গেছে, শুক্রবার রাতে ঘুমানোর সময় অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তি হৃষিকেশের সঙ্গে ভাব জমায়। তারপরই গ্লুকন্ডির জল খাওয়ার কথা বলে। বিশ্বাস করে খেয়ে ফেলেন হৃষিকেশ। এরপরই, খেল খতম! অচৈতন্য হৃষিকেশের সব লুট হয়ে যায়। শনিবার সকালে, তাঁর পরিবারের এক সদস্য তাঁকে এসে ডাকলে, ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার পকেটে থাকা মোবাইল নেই এবং মানি পার্সে থাকা ১৮ হাজার টাকাও গায়েব! এরপর তিনি বিষয়টি মেদিনীপুর কোতওয়ালী থানায় জানান। তবে, হৃষিকেশের অভিযোগ, এতবড়ো একটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চিকিৎসার জন্য আসছেন, সেখানে রোগীর বাড়ীর লোকেদের রাত কাটানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। শীত গ্রীষ্ম বর্ষা হাসপাতাল চত্বরে খোলা আকাশের নীচে পড়ে থাকতে হয়। হাসপাতালে আগত মানুষদের নিরাপত্তা বলতে কিছুই নেই। এই বিষয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এক আধিকারিক জানালেন, পুলিশ থাকে ক্যাম্পাসে। রোগীর পরিজনদের থাকার জন্যও একটি আবাসন গড়ে তোলার কাজ শুরু করা হবে।