দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩১ অক্টোবর: মানিপার্সে ৫০০ টাকার একাধিক নোট। সঙ্গে আধার কার্ড, প্যানকার্ড, ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এটিএম কার্ড সহ জরুরী কাগজপত্র। সব কিছু হারিয়েও মাত্র ১ ঘন্টার মধ্যে ফিরে পেলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। সৌজন্যে মেদিনীপুরের ছোট্ট অনীক। কৃষকের সন্তান অনীকের সততায় মুগ্ধ মেদিনীপুরবাসী।

thebengalpost.net
টাকা ভর্তি মানিপার্স ফেরাল নাবালক:

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):

বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ মেদিনীপুর শহরের ৪নং ওয়ার্ডের উদয়পল্লীর রাস্তায় অনীক দরকারি কাগজপত্র সহ টাকা ভর্তি একটি মানিপার্স কুড়িয়ে পায়। বাড়িতে ফিরেই এসেই অনীক তার মা, পেশায় হোমগার্ড প্রীতিলতা দেবসিংহ মাহাতোকে বলে, ‘কাগজপত্রগুলো থেকে ফোন নং খুঁজে দেখতো মা…!’ এরপরই সহকর্মী শিশির সার-এর সূত্রে যোগাযোগ হয় মানিপার্সের মালিক, প্রাণীবিদ্যা বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাঠরত সোমনাথ সারের সাথে। সব হারিয়ে ভেঙে পড়া সোমনাথের কাছে এই খবর পৌঁছনো মাত্রই উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন! হারানোর ঘন্টা খানেকের মধ্যেই নিজের মানিপার্স ফেরত পেয়ে যান সোমনাথ। সোমনাথ বলেন, ‘মানিমার্সে প্রায় ছ’হাজার টাকা ছিল। তার থেকেও বড় কথা আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলো ছিল। কি বলে যে ধন্যবাদ দেব ছোট্ট অনীক সহ তার পরিবারের সদস্যদের!’

অনীকের বাবা কৃপাসিন্ধু মাহাতো পেশায় কৃষক। মা প্রীতিলতা দেবসিংহ মাহাতো পেশায় হোমগার্ড। শহরের উদয়পল্লীতে একমাত্র ছেলে অনীককে নিয়ে তাঁরা ভাড়াবাড়িতে থাকেন। অনীক মেদিনীপুর শহরের সারদা বিদ্যামন্দিরের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। বাবা-মা’র শেখানো আদর্শকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলেছে সে। তার সততায় মুগ্ধ সোমনাথ সহ মেদিনীপুরের সচেতন নাগরিকরা। শিক্ষক ও সমাজকর্মী সুদীপকুমার খাঁড়া বলেন, ‘অনীকের মত ছেলেরাই তো এই সমাজের গর্ব।’

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):