অর্ণব দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ জুন: বাসের অপেক্ষায় বসেছিলেন বছর তিরিশের যুবক। মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডের অন্যান্য যাত্রীদের মাঝে বসে থাকতে থাকতে হঠাৎই শুয়ে পড়েন। দীর্ঘক্ষণ তাঁর শুয়ে থাকা দেহ দেখে সন্দেহ হয় লোকজনের। পরে বোঝা যায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন পেশায় হোমগার্ড ওই যুবক। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান সহ কোতোয়ালী থানার পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁরা জানান, ওই যুবকের নাম সুনীল মুর্মু। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড় এলাকায়। পেশায় ছিলেন স্পেশাল হোমগার্ড।

thebengalpost.net
মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে:

মেদিনীপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি, সুনীল মুর্মু নামে ওই যুবকের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় এলাকায়। স্পেশাল হোমগার্ডের কাজ করত সে। খবর পেয়ে আমরা এখানে এসেছিলাম।” ঘটনার খবর যায় কোতোয়ালী থানার পুলিশের কাছেও। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, সান স্ট্রোক বা হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। কারণ, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী সোমবার দুপুরে মেদনীপুর শহরের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির বেশি (বিকেলের পর অবশ্য তাপমাত্রা নামে)। ঘটনা তদন্ত শুরু করা হয়েছে কোতোয়ালী থানার তরফে।