দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ১৯ জুলাই: প্রয়াত হলেন মেদিনীপুর পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপ্রধান এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের প্রাক্তন মেন্টর প্রণব বসু! বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন তিনি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ’তে ভর্তি ছিলেন বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে। রবিবার (১৮ জুলাই) গভীর রাতে (রাত্রি ১১ টা নাগাদ) কলকাতার ওই বেসরকারি হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
মেদিনীপুর পৌরসভার দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান বা পৌরপ্রধান ছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে তিনি পৌর-প্রশাসক হিসেবেও নিযুক্ত ছিলেন। পোড়খাওয়া এই ডানপন্থী নেতা একসময় রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ছিলেন এবং মেদিনীপুর শহরের একজন জনপ্রিয় কাউন্সিলর ছিলেন। তাঁকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের মেন্টর হিসেবেও নিযুক্ত করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, রাজনৈতিক জগতে শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবেই ছিল তাঁর পরিচিতি। তাই, শুভেন্দু অধিকারী’র হাত ধরে ২০২০ সালের ১৯ শে ডিসেম্বর তিনিও বিজেপি দলে নাম লেখান। শাসকদল (তৃণমূল কংগ্রেস) সূত্রে পাওয়া সমস্ত পদ থেকে পদত্যাগ করে, ঐতিহাসিক মেদিনীপুর কলেজ কলেজিয়েট মাঠে তুলে নেন গেরুয়া পতাকা! এরপর, বিধানসভা নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। তারপর থেকেই অবশ্য প্রণব বাবু’র মতো বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদদের সেভাবে আর প্রচারের আলোয় দেখা যায়নি!
এদিকে, জুলাই মাস নাগাদ শারীরিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ প্রণব বসু। গত কয়েকদিন ধরে হৃদরোগের গুরুতর সমস্যা নিয়ে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অবশেষে, চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে রবিবার গভীর রাতে তিনি পরলোকগমন করেন। গভীর রাতে মেদিনীপুরে এই খবর এসে পৌঁছনোয়, এখনও জেলার সকল রাজনীতিবিদরা এই শোক-সংবাদ পাননি! তবে, তাঁর পরিবারের তরফে ভ্রাতুষ্পুত্র শুভজিৎ বসু এই খবর সমাজমাধ্যমে জানিয়ে লিখেছেন, “জেঠু তুমি যেখানেই থাকো, ভালো থেকো। আমরা অভিভাবকহীন হয়ে পড়লাম! মেদিনীপুর বাসী তোমায় চিরকাল মনে রাখবে।” সোমবার সকালে তাঁর দেহ মেদিনীপুর শহরে নিয়ে আসা হবে বলে জানা গেছে। মেদিনীপুর পদ্মাবতী শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলেও জানা গেছে।