মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ ডিসেম্বর: সারা বছর ধরে যাঁদের ‘মুখ গোমড়া’ পুলিশ কাকু হিসেবেই চেনে শিশুরা, সেই পুলিশ কাকুরাই বড়দিনে একেবারে অন্য মেজাজে। শিশুদের আদরের সান্তাক্লজ সেজে নানা উপহার নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন তাদের কাছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের অন্যতম প্রতিনিধি তথা খড়্গপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (SDPO) শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সান্তার সাজে শিশুদের প্রিয় চকলেট নিয়ে হঠাৎ করেই হাজির হয়ে গেলেন খড়্গপুরের বিএনআর গার্ডেনে। সুসজ্জিত এই গার্ডেনে বা পার্কে তখন খেলাধুলায় মজে ছিল ৪০-৫০ জন শিশু। সান্তা কাকুকে দেখে তাদের উৎসাহের অন্ত নেই! তারপর ঝুলি থেকে চকলেট বের করলেন সান্তা কাকু। একে একে সকলকে দিলেন। পরে, জানা গেল, সান্তার সাজে ছিলেন স্বয়ং গুরুগম্ভীর এসডিপিও দীপক সরকার। সারা বছর ধরে যিনি খড়্গপুর মহাকুমার চোর ছ্যাচ্চর- দাগি আসামিদের হাত থেকে মহাকুমাবাসীকে নিরাপত্তা দেওয়ার কাজে নেতৃত্ব দেন। সেই রাগী পুলিশ কাকুই বড়দিনে হয়ে উঠলেন আদরের সান্তা কাকু!
অন্যদিকে, সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ কর্মসূচীর মধ্য দিয়েই বড়দিন পালন করল শালবনী থানার অধীন পিড়াকাটা পুলিশ ফাঁড়ি। পিড়াকাটা বাজার থেকে পাথর কুমকুমি অবধি হেলমেট পরিহিত সকল পুলিশকর্মীরা সুসজ্জিত বাইক র্যালি করে পৌঁছে যান বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে। সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেন কেক, মিষ্টি, চকলেট। ছিলেন পিড়াকাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আনন্দ মণ্ডল সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশের এদিনের কর্মসূচিতে খুশি গ্রামবাসীরা! আর, ভালোবাসার আবদারে আসলে পুলিশকর্মীরা বার্তা দিলেন নিরাপদ ভাবে, হেলমেট পড়ে গাড়ি চালানোর জন্য। যে কর্মসূচির পোশাকি নাম- ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ (Safe Drive Save Life)।
অপরদিকে, বড়দিনের দিনই শালবনী থানার পুলিশের মানবিক মুখ দেখলেন মেদিনীপুরবাসী। শহরের দেওয়ান বস্তির বাসিন্দা পেশায় হকার শেখ সেলিম নামে এক ব্যক্তি শনিবার দুপুরে শালবনী থানার অন্তর্গত ভাদুতলা এলাকায় বাইকে করে বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে বিক্রি করতে যাওয়ার পথে হঠাৎই চলন্ত বাইক থেকে মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যান। রাস্তায় পড়ে গিয়ে তাঁর মাথায়, নাকে, মুখে গুরুতর আঘাত লাগে। মাথা ফেটে রক্ত বেরোতে থাকে। সেই সময় ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন শালবনী থানার আই সি গোপাল বিশ্বাস। তিনি ওই ব্যক্তিকে দেখে গাড়ি থামিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে নিজের গাড়িতে তুলে শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা করিয়ে শেখ সেলিমকে অটোতে করে বাড়ী পাঠান এবং তাঁর মোটর বাইক ও বিক্রির সামগ্রী বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। পুলিশের এহেন কাজে একদিকে যেমন এলাকার মানুষ প্রসংশা করেছেন, তেমনই পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আহত ব্যক্তি শেখ সেলিম।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ জুন: বাঙালির ভাষা শিক্ষা আর নীতিশিক্ষার ভিত গড়ে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ জুন: গবাদি পশু (মহিষ) খুঁজতে বেরিয়ে দলছুট দাঁতালের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ জুন: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে পঞ্চায়েত…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ জুন: গত ১৯ এপ্রিল প্রকাশিত সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ জুন: ছুটিতেও ছুটি নেই তাঁর। গত কয়েকদিন ধরে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ মে: আদালতের নির্দেশে অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে আক্রান্ত…