দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বাজির কারখানা হিসেবে পরিচিত মেদিনীপুর গ্রামীণের ছেড়ুয়ায় বড়সড় অভিযান চালানো হল মেদিনীপুর কোতোয়ালী থানার তরফে। সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা অবধি চলে এই অভিযান। বাজেয়াপ্ত করা হয় বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ শব্দবাজি। কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রির বিষয়ে। উল্লেখ্য যে, সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, “বাজি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ নয়। পরিবেশবান্ধব বাজি ফাটানো যাবে।” এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের পুলিশ প্রশাসনকে নজরদারি চালানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি, কলকাতা হাইকোর্টের “সবধরনের বাজিই নিষিদ্ধ”, এই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারপরই, সোমবার নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার করতে তৎপরতা দেখায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।
প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর শহর থেকে মাত্র ৬-৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছেড়ুয়া গ্ৰামে রীতিমতো পসরা সাজিয়ে আতসবাজি এবং নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর আসার পরই কোতোয়ালী থানার টাউনবাবু তরুণ কুমার দে’র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে বাজি কারখানাগুলোতে অভিযান চালায়। প্রায় ৫০ কেজির বেশি নিষিদ্ধ শব্দবাজি ও বাজি তৈরীর উপকরণ বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে, এই গ্রামের অসহায় মানুষগুলি, যাদের এই বাজি তৈরি ও বিক্রি করাই একমাত্র পেশা, তাঁরা হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট আর প্রশাসনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফাঁপরে পড়েছেন। এক গ্রামবাসী বললেন, “আমরা যাতে অন্য পেশায় আসতে পারি, সেজন্য প্রশাসন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক”! অন্যদিকে, নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি করার অপরাধে, শালবনী ব্লকের পিড়াকাটা সংলগ্ন এলাকা থেকে করুণা দেবসিংহ নামে বছর ২৫ এর এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পিড়াকাটা পুলিশ পোস্ট। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে নিষিদ্ধ শব্দবাজি। আগামীকাল ওই যুবককে আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।