দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম, ১৮ এপ্রিল:পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের মহিলা শাখার সভাপতি (District President, Trinamool Mahila Congress Committee) মনোনীত হলেন, মামণি মান্ডি। কেশিয়াড়ির বাসিন্দা মামণি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ পদেও আছেন। সোমবার সন্ধ্যায়, রাজ্য নেতৃত্বের তরফে এই ঘোষণার সাথে সাথে মেদিনীপুর ও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের মহিলা শাখাও যে ভেঙে দেওয়া হল, তা বলাই বাহুল্য! গত ১৬ আগস্ট (২০২১), মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা মহিলা তৃণমূলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন কল্পনা শেঠি। অপরদিকে, ঘাটালের দায়িত্ব পেয়েছিলেন কাবেরী চ্যাটার্জি। কিন্তু, তাঁদের দু’জনকেই সরিয়ে, পশ্চিম মেদিনীপুর মহিলা তৃণমূলের দায়িত্ব দেওয়া হল, মামণি মান্ডি-কে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দুই মহিলা সংগঠনের সভাপতিদেরও। পরিবর্তে, পুরো জেলা তৃণমূলের মহিলা শাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, মধুরিমা মন্ডল-কে।

এদিকে, ঝাড়গ্রামের ক্ষেত্রে আবার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে ছত্রধর মাহাতোর স্ত্রী নিয়তি মাহাতো-কে। তাঁর পরিবর্তে দায়িত্বে এলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তবে কি, জঙ্গলমহলে এই মুহূর্তে মাও-আতঙ্ক থাকাতেই ছত্রধর পত্নীকে সরিয়ে দেওয়া হল? নাকি, ঝাড়গ্রামের গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতেই মহিলা তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হল, বীরবাহা-কে? এরকম নানা প্রশ্ন উঠছে, পশ্চিম মেদিনীপুর নিয়েও। এখনও একবছর হয়নি, কল্পনা কিংবা কাবেরী দায়িত্ব পেয়েছিলেন! তার মধ্যেই কি তাদের সাংগঠনিক ক্ষমতা যাচাই হয়ে গেল? নাকি সেই গোষ্ঠী কোন্দল মেটানোর প্রয়াস? তবে, এরপরও যে গোষ্ঠী কোন্দল থাকবেনা, তা হয়তো তৃণমূলের কোনো নেতাই জোর দিয়ে বলতে পারবেন না! এ প্রসঙ্গে এও উল্লেখ্য যে, সমস্ত জেলার সাংগঠনিক মহিলা শাখা ভেঙে দেওয়া হয়নি। হুগলি, বাঁকুড়া, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা- প্রভৃতি জেলার ক্ষেত্রে দু’জন করেই দায়িত্বে আছেন। অন্যদিকে, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার যুব সংগঠন এবং মূল সংগঠনও ভেঙে দেওয়া হয়নি। গত ৩ মার্চ (২০২২) নজরুল মঞ্চে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেছিলেন! তাই, আপাতত মূল সংগঠনের জেলা সভাপতিদের পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এনিয়ে যদিও, জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।











