thebengalpost.net
চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন (ছবি- মণিরাজ ঘোষ) :

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ অক্টোবর: বহু বিক্ষোভ-আন্দোলনের পর অবশেষে রবিবার (৩১ অক্টোবর) থেকেই পশ্চিমবঙ্গে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। তবে, আপাতত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে ট্রেন। এমনটাই জানা গেছে নবান্ন সূত্রে। প্রসঙ্গত, আগামীকাল (শনিবার) রাজ্যের চার আসনে উপনির্বাচন। আর তার পরের দিন থেকেই লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হচ্ছে আগের মতোই। তবে, মানতে হবে কোভিড বিধি। উল্লেখ্য যে, গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন মহল থেকে অবিলম্বে লোকাল চালুর জন্য দাবি তোলা হয়েছিল। রেল তৈরি থাকলেও, অনুমতি মেলেনি রাজ্যের। এ প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “গত মে মাস থেকে রাজ্য সরকারের নির্দেশেই লোকাল ট্রেন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। রাজ্য সরকারের অনুমতি মেলায় এখন রবিবার থেকে তা চালু হবে। আমরা আগে থেকেই তৈরি ছিলাম।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “সব লোকাল ট্রেন চালু হয়ে গেলেও রেলের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের কাছে আর্জি থাকবে যাতে কেউ যেন খুব জরুরি কারণ ছাড়া ট্রেন সফর না করেন।”

thebengalpost.net
চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন (ছবি- মণিরাজ ঘোষ) :

তবে, মন খারাপ মেদিনীপুর-খড়্গপুর-ঝাড়গ্রাম-পুরুলিয়া প্রভৃতি এলাকার। কারণ এই সব স্টেশনের উপর দিয়ে চলাচল করা ১৬ টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন আর চলবে না! লাভ না হওয়ার কারণ দেখিয়ে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। এই ট্রেনগুলির সবকটিই বাংলা, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের মধ্যে চলে। সম্প্রতি, তথ্য জানার অধিকার আইনে একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে এই তথ্য জানিয়েছে রেল। বাতিল হয়ে যাওয়া সবকটি ট্রেনই দক্ষিণ-পূর্ব রেলের। লাভ না হওয়ায় দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বাতিল ট্রেনের মধ্যে বাংলার পাঁচ জোড়া রয়েছে। হাওড়া-পুরুলিয়া আপ ও ডাউন লালমাটি এক্সপ্রেস আর চলবে না। একই ভাবে বাতিল আপ ও ডাউন খড়্গপুর-পুরুলিয়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। এ ছাড়াও, আপ ও ডাউন শালিমার-আদ্রা রাজ্যরানি এক্সপ্রেস, ঝাড়গ্রাম-পুরুলিয়া বিরসা মুন্ডা এক্সপ্রেস, খড়্গপুর-হিজলি মেমু ট্রেনটি আর না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। করোনা পরিস্থিতিতে অনেক ট্রেনই বাতিল ছিল। তারই মধ্যে এই ট্রেনগুলি পুরোপুরি না চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাতিল হওয়া ট্রেনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাঁচি-পটনা এসি এক্সপ্রেস। ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি থেকে বিহারের রাজধানী পটনাগামী এই ট্রেনটি কোডারমা, হাজারিবাগ হয়ে যেত। খড়্গপুর-পুরুলিয়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস এবং শালিমার-আদ্রা রাজ্যরানি এক্সপ্রেস একটা সময়ে বাংলায় খুবই জনপ্রিয় ট্রেন ছিল। একই ভাবে পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম বিরসা মুন্ডা এক্সপ্রেস, খড়্গপুর-হিজলি মেমু ট্রেনগুলির মাধ্যমে স্থানীয় যাত্রীরা উপকৃত হতেন। কিন্তু, ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় দক্ষিণ পূর্ব রেল এই ১৬ টি ট্রেন পুরোপুরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।