Railway

Railway: চলন্ত ট্রেনেই ‘লক্ষ্মী’ এলো! গোমো এক্সপ্রেস মেদিনীপুর স্টেশনে পৌঁছনো মাত্রই রেলকর্মীদর তৎপরতায় মা ও সন্তানকে পাঠানো হল মেডিক্যাল কলেজে

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ অক্টোবর:’মা লক্ষ্মী’ এলো চলন্ত ট্রেনেই! রঞ্জিত আর সুভা’র কোল আলো করে জন্ম নিলো এক ফুটফুটে কন্যা সন্তান। রবিবার দুপুরে (সাড়ে ১২ টা নাগাদ) গোমো এক্সপ্রেস যখন চন্দ্রকোনা রোড ও শালবনী স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে, ঠিক সেই সময়ই সন্তান প্রসব করেন সুভা দেবী। এরপরই, দ্রুত খবর পাঠানো হয় মেদিনীপুর স্টেশনে। মেদিনীপুর স্টেশনে ট্রেন পৌঁছনো মাত্রই আরপিএফ (RPF) সহ রেল কর্মীদের তৎপরতায় মা ও তাঁর সদ্যজাত কন্যা সন্তানকে পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ভর্তি করা হয় মাতৃমা বিভাগে। আপাতত দু’জনই সুস্থ আছে বলে মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গেছে।

মেদিনীপুর স্টেশনে মা ও সন্তান রেল কর্মীদের মাঝে :

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিহারের বাসিন্দা রঞ্জিত মাঝি ও তাঁর স্ত্রী সুভা দেবী ইঁট ভাটার শ্রমিক। রবিবার ঝাড়খণ্ডের গোমো স্টেশন (Gomo Station) থেকে তাঁরা গোমো-খড়্গপুর এক্সপ্রেস ট্রেন ধরেন। সঙ্গে ছিল তাঁদের তিন বছরের ছেলেও। সুভা দেবী ছিলেন সন্তানসম্ভবা। কিন্তু, খেটে খাওয়া, শ্রমিক এই দম্পতি সন্তান প্রসবের দিনক্ষণ সম্পর্কে ততখানি সচেতন ছিলেন না! এদিকে, ট্রেন চন্দ্রকোনা রোড স্টেশন পেরোনোর পরই সুভা’র প্রসব বেদনা শুরু হয়। ট্রেন তখন দ্রুত গতিতে ছুটছে পরবর্তী স্টেশনের দিকে! এরপর, তাঁদের সঙ্গেই আসা অন্যান্য শ্রমিক পরিবারগুলির সহায়তায় চলন্ত ট্রেনের মধ্যেই প্রসব করানো হয় তাঁর। জন্ম নেয় ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান। সহযাত্রীদের মাধ্যমে খবর পৌঁছয় রেলে কর্তৃপক্ষের কাছেও। রেলের তরফে মেদিনীপুর স্টেশনে বার্তা পাঠানো হয়। মেদিনীপুর স্টেশন কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সঙ্গে। দুপুর ১ টা ১৫ নাগাদ গোমো এক্সপ্রেস মেদিনীপুর স্টেশনে পৌঁছনোর আগেই সমস্ত ব্যবস্থা করে রাখা হয়। আরপিএফ এর ‘মাই সহেলী’ টিমের মহিলা কর্মীদের তৎপরতায় সুভা ও তাঁর সন্তানকে নামানো হয় ট্রেন থেকে। স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হয় সুভা দেবী-কে। মহিলা আরপিএফ (‘মাই সহেলী’ টিমের) কর্মীরা কোলে করে সদ্যজাত শিশুকন্যাকে তুলে দেন। অ্যাম্বুলেন্সে ওঠার সময়, দু’হাত জড়ো করে রেল কর্মীদের প্রণাম করেন সুভা দেবী। ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাওয়া বছর ৩৫-এর স্বামী রঞ্জিত মাঝি বলেন, “আমরা গোমো থেকে খড়্গপুর যাচ্ছিলাম। রাস্তাতেই আমার স্ত্রী সন্তান প্রসব করেন। রেল কর্মীদের সহায়তায় হাসপাতালে পাঠানো হয়।” খবর পেয়ে স্টেশনে পৌঁছেছিলেন মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খানও। RPF এর সুবেদার দীপক ঘোষ জানান, “চন্দ্রকোনা রোড স্টেশন থেকে মেদিনীপুর স্টেশনে খবর পাঠানো মাত্রই আমরা যোগাযোগ করি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে।‌ অ্যম্বুলেন্স (Ambulance)-এর জন্য ফোন করা হয় ১০২ নম্বরে। সকলের তরফেই সহযোগিতা পাই। দুপুর ১ টা ১৫-২০ নাগাদ ট্রেন পৌঁছনো মাত্রই তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।” আপাতত, মা ও সন্তান দু’জনই সুস্থ আছে বলে মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গেছে।

পাঠানো হচ্ছে মেডিক্যাল কলেজে :

News Desk

Recent Posts

Midnapore: একদিকে চন্দ্রযান, অন্যদিকে হরিনাম; শিক্ষা-সংস্কৃতি-বিজ্ঞান-ক্রীড়া ও পরিবেশের অভূতপূর্ব মেলবন্ধন বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতনের বার্ষিক প্রদর্শনীতে

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ আগস্ট: আধুনিক যুগের বিজ্ঞান থেকে সনাতন সংস্কৃতি, যোগব্যয়াম-খেলাধুলার…

4 hours ago

Kharagpur: নতুন কারখানায় কাজ শুরু করবে রশ্মি মেটালিক্স, বাধা সৃষ্টি হলে পুলিশের পদক্ষেপ; নির্দেশ আদালতের

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ আগস্ট: নতুন কারখানায় অবিলম্বে কাজ শুরু করতে পারবেন…

17 hours ago

Midnapore: মেদিনীপুরের একটি বুথেই ৪৯ জন ‘মৃত’ ভোটার, মৃত্যুর ৭ বছর পরও বাদ পড়েনি নাম! প্রশাসনের ঘাড়েই দায় চাপালেন BLO

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ আগস্ট: SIR-এর নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল। এই ইস্যুতে…

21 hours ago

Midnapore: মেদিনীপুরের মেয়ের ইংলিশ চ্যানেল জয়! নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলেন আফরিন

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ২৯ জুলাই: মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাত্রি ঠিক ৯টা ৩১ মিনিট…

5 days ago

Midnapore: স্কুল-টাইমে ঘুরতে ঘিয়ে বিপত্তি, আমড়াতলা ড্যামে তলিয়ে মৃত্যু মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্রের

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ জুলাই: স্কুল ড্রেস পরেই বেরিয়েছিল বাড়ি থেকে। তবে,…

6 days ago

Midnapore: “আপনাদের বেতনটা কত বেড়েছে…?”, নিজের গড়েই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ক্ষোভের মুখে মন্ত্রী শ্রীকান্ত

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৭ জুলাই: "৩ বছর আগে আলুর দাম ছিল ৩টাকা…

1 week ago