তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ জানুয়ারি: তৃণমূল পার্টি অফিস থেকেই ‘দুয়ারে রেশন’। অবাক হচ্ছেন? এ আবার কেমন কথা! না না, ঠিকই শুনছেন। একেবারে সঠিক! বিতর্কিত এই ঘটনাই ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নং ব্লকের জাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নেকড়বাগ গ্রামে। গত ১৩ জানুয়ারি নেকড়বাগ গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি দলীয় কার্যালয় থেকে গ্রাহকদের রেশন বন্টনের ছবি ভাইরাল হয়! তাতে দেখা যায়, রীতিমতো তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের ভিতরেই রেশন সামগ্রী বন্টন করা হচ্ছে এবং রেশন সামগ্রী নিতে কার্য্যালয়ের বাইরে লম্বা লাইন। আর, এই ছবি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক তরজা! আর, ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের রেশন গ্রামে গিয়ে বন্টন না করে, কেনো তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় থেকে বন্টন করা হবে, তা নিয়ে কাঠগড়ায় রেশন ডিলার।

thebengalpost.net
তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে দুয়ারে রেশন বিলি নিয়ে বিতর্ক (ছবি- সংগৃহীত):

জানা যায়, গত ১৩ জানুয়ারি চন্দ্রকোনার তাতারপুর গ্রামের রেশন ডিলার দেবাংশু ঘোষাল দুয়ারে রেশন প্রকল্পের রেশন বন্টনের জন্য নেকড়বাগ গ্রামে যান এবং সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি দলীয় কার্যালয় থেকে ওই গ্রামের গ্রাহকদের রেশন সামগ্রী বন্টন করেন। যদিও, রেশন ডিলার দেবাংশু ঘোষালের দাবি, “খারাপ আবহাওয়া এবং ওই গ্রামে কোনও সেড না মেলায়, স্থানীয়দের কথায় ওই দলীয় কার্যালয়ে রেশন সামগ্রী বিলি করা হয়। কিন্তু, এনিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ায় গ্রামেরই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বাকি গ্রাহকদের রেশন সামগ্রী বন্টন করা হয়।” এ বিষয়ে চন্দ্রকোনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সূর্যকান্ত দোলই জানান, “তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে মাল দিতে হবে বা নিয়ে যেতে হবে এরকম কাউকেই বলে দেওয়া হয়নি। ওইদিন আবহাওয়া খারাপের জন্য এবং বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ায় তড়িঘড়ি কাছের একটি পার্টি অফিসে মালগুলো রেখেছিল বলে শুনেছি।” যদিও, রেশন ডিলারকে শোকজ করেছে ব্লক প্রশাসন। তবে, ঘটনার নিন্দা করে বিজেপির রামজীবনপুর মন্ডলের বিজেপি নেতা সঞ্জিব কালিন্দী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সরকার ও তৃণমূল দল দু’টোই এক হয়ে গিয়েছে। মানুষ আর তৃণমূলের পার্টি অফিসে যেতে চাইছে না। তাই, প্রশাসনিক বিষয়কে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল সাধারণ মানুষকে তাদের পার্টি অফিসে যেতে বাধ্য করছে।” যদিও, বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, “ইতিমধ্যে ওই রেশন ডিলারকে শোকজ করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”