দ্য বেঙ্গল পোস্ট বিশেষ প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ মার্চ:’খামবন্দী’ চেয়ারম্যানরা (পড়ুন, চেয়ারম্যানদের নাম)! সেই খাম নাকি পৌঁছেও গেছে জেলায় জেলায়। কিছু নাম ভেসে বেড়াচ্ছে, কিছু নাম নাকি একপ্রকার নিশ্চিতও হয়ে গেছে। তবে, যতক্ষণ না অবধি ঘোষণা হচ্ছে, ততক্ষণ অবধি চরম উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা চেয়ারম্যান বা পৌর প্রধান পদের দাবিদারদের মধ্যে। উৎকণ্ঠিত তাঁদের সমর্থকরাও। আর, চেয়ারম্যান পদের লড়াই নিয়ে যে সমস্ত পৌরসভাগুলিতে আছে টানটান উত্তেজনা, তার মধ্যে অন্যতম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের অন্তর্গত মেদিনীপুর পৌরসভা ও খড়্গপুর পৌরসভা। বিভিন্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই দুই পৌরসভার চেয়ারম্যান বা পৌরপ্রধান হিসেবে দু’টি নাম একপ্রকার চূড়ান্ত হয়ে গেছে এবং তা নাকি ‘খামবন্দী’ হয়ে জেলায় পৌঁছেও গেছে। তবে, শেষ মুহূর্ত অবধি তাঁরাও ‘আশঙ্কা’র মধ্যে আছেন, কারণ দলটার নাম যে তৃণমূল! হয়তোবা দেখা গেল, শেষ মুহূর্তে নতুন কোনো ‘নাম’ নিয়ে, নতুন কোনো ‘খাম’ জেলায় পৌঁছে গেল! আবার, এই নতুন খামের ‘আশা’য় বুক বেঁধে আছেন চেয়ারম্যান পদের দাবিদার অন্য কাউন্সিলর-রা। স্বভাবতই, আজ, মঙ্গলবার দলের তরফে পৌরসভার চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে গেলেও, শেষ মুহূর্ত অবধি দুই শহরে বজায় আছে চরম উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর টানটান উত্তেজনা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মেদিনীপুর পৌরসভার ক্ষেত্রে পৌর প্রশাসকমণ্ডলীর প্রাক্তন চেয়ারপারসন তথা ১৮ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সৌমেন খানের নাম চেয়ারম্যান বা পৌরপ্রধান হিসেবে চূড়ান্ত হয়ে গেছে বলে খবর বিভিন্ন সূত্রে। তাঁর নামই নাকি ‘খামবন্দী’ হয়ে এসেছে! অন্যদিকে, খড়্গপুর পৌরসভার ক্ষেত্রে প্রশাসকমণ্ডলীর প্রাক্তন চেয়ারপারসন তথা ৬ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রদীপ সরকারের নাম চূড়ান্ত বলে সোমবার সন্ধ্যা অবধি খবর। তবে, দলটার নাম যেহেতু তৃণমূল কংগ্রেস, স্বভাবতই পৌর ভোটের প্রার্থী তালিকার মতো শেষ মুহূর্তে তা বদলে যাওয়ার ‘আশঙ্কা’ও উড়িয়ে দিচ্ছেন না দুই কাউন্সিলরের শুভাকাঙ্খীরা! আর, তাঁদের ক্ষেত্রে যা ‘আশঙ্কা’র, তাই ‘আশা’র হয়ে দাঁড়াচ্ছে ‘চেয়ারম্যান’ পদের দাবিদার অন্যান্য কাউন্সিলর-দের কাছে। একই কথা প্রযোজ্য ভাইস চেয়ারম্যান বা উপ পৌর প্রধান পদটি নিয়েও। আর, রাজনৈতিক মহল এই বিষয়টি উড়িয়েও দিচ্ছেনা, কারণ পৌরভোটের প্রার্থী তালিকা ওয়েবসাইট আর সমাজ মাধ্যমে আপলোড করে দেওয়ার পরও যেভাবে সেই তালিকায় ‘কলম চালানো’ হয়েছে; তাতে, ফের যে জেলায় কোনো নতুন খাম পৌঁছে যাবেনা, তা কে বলতে পারে!