দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ ডিসেম্বর: পথচলা শুরু হয়েছিল ২০১২ সালের ২২ ডিসেম্বর। অবিভক্ত মেদিনীপুরে (পূর্ব মেদিনীপুর সহ) সেই প্রথম আইভিএফ (In Vitro Fertilisation/ IVF) পদ্ধতির সফল সূচনা হয়। মফস্বল এলাকাতে কাজটা যে বেশ কঠিন ছিল, জানালেন সিমবায়োসিসের অন্যতম প্রাণপুরুষ ডাঃ কাঞ্চন কুমার ধাড়া। বললেন, “এখনও অধিকাংশ মানুষের স্বচ্ছ ধারণা নেই এই বিষয়টি প্রসঙ্গে। তাই, চিকিৎসার পাশাপাশি আমাদের সচেতনতার কাজটাও করে যেতে হয়। মেদিনীপুর শহরে বসে কাজটা কিছুটা কঠিন। তবে, আমরা আশাবাদী! সকলের সহযোগিতা নিয়েই আমরা এগোবো।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ কাঞ্চন কুমার ধাড়া এবং শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ সন্ধ্যা মণ্ডলের সুযোগ্য নেতৃত্বে গড়ে ওঠে এই ফার্টিলিটি সেন্টার। তার পর থেকে, আইভিএফ (IVF)- এর মাধ্যমে ১২০০ কেসের মধ্যে ৪০০-র বেশি ক্ষেত্রে মা গর্ভধারণ সক্ষম হয়েছেন এবং ২০০-র বেশি মা সুস্থ সন্তান প্রসব করে বাড়ি ফিরেছেন। আই ইউ আই- এর মাধ্যমে ১০০০০-এর বেশি চিকিৎসা হয়েছে। তার মধ্যে ১৫০০-র বেশি মা সন্তান ধারণে সক্ষম হয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে গত ১০ বছর ধরে মাতৃত্বের পরম সুখ দেওয়ার মহান কাজটি করে চলেছে সিমবায়োসিস ফার্টিলিটি সেন্টার। মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্রনগরে অবস্থিত এই সেন্টারে একই ছাদের নীচে মা, শিশু ও বন্ধ্যাত্বের আধুনিক চিকিৎসা করা হয়। বৃহস্পতিবার সিমবায়োসিস ফার্টিলিটি সেন্টার- এর পক্ষ থেকে সাড়ম্বরে দশম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপন করা হলো। অনুষ্ঠানে সিমবায়োসিসের যুক্ত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, শুভানুধ্যায়ী এবং এই সেন্টার থেকে উপকৃত দম্পতিরা তাঁদের সন্তান সহ উপস্থিত ছিলেন। মেদিনীপুর শহরের জ্যাক পাল রেসিডেন্সিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ শ্রীমন্ত সাহা, শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ গৌর মন্ডল, উদ্যোগপতি উদয়রঞ্জন পাল, সমাজসেবী অনাদি সাঁতরা প্রমুখ। অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান ডাঃ কাঞ্চন ধাড়া ও ডাঃ সন্ধ্যা মন্ডল ধাড়া। অনুষ্ঠানটি সুচারু ভাবে সঞ্চালনা করেন বাচিক শিল্পী পায়েল সামন্ত।