দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ অক্টোবর:হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলে ‘ব্ল্যাকমেইল’ (Blackmail) বা প্রতারণা ও হুমকি-র শিকার হলেন মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতি সন্দীপ সিংহ। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি যখন শালবনীর মহাশোল দলীয় কার্যালয়ে কর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন, তাঁর ফোনে একটি হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কল আসে। তা তিনি রিসিভ করেন এবং ৩-৪ সেকেন্ড পরে কেটে দেন। তারপরই একটি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট থেকে হুমকি চ্যাট বা বার্তা আসে। এক মহিলার ছবি দিয়ে একটি এডিট বা সম্পাদনা করা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরে, সন্দীপের মোবাইলে একটি এডিটেড ভিডিও পাঠানোও হয়। যেখানে সন্দীপের ছবি ওপরে এবং নীচে এক মহিলার ছবি দিয়ে ভিডিও-টি তৈরি করা হয়। সন্দীপ বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেওয়ায় বা ওই প্রতারণা কারীর মেসেজের রিপ্লাই না দেওয়ায়, ওই ভিডিও ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে তাঁর সকল আত্মীয় পরিজন ও বন্ধু-বান্ধবদের ছড়িয়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য যে, ওই ভিডিও-র সঙ্গে একটি কল রেকর্ডও পাঠানো হয় এক পুরুষ-কন্ঠের। যেখানে বলা হয়- ‘থোড়ি দের মে বাতাদুঙ্গা তুম কউন হো, অউর মে কউন’! এরপরই, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছেন সন্দীপ।

thebengalpost.net
সন্দীপ সিংহ :

সন্দীপ এদিন রাত্রি ১০ টা নাগাদ সাংবাদিকদের জানান, “কিছুক্ষণ আগে আমার হোয়াটসঅ্যাপে হঠাৎই একটা ভিডিও কল আসে। আমি কলটা রিসিভ করি। বর্তমানে, আমি মহাশোল পার্টি অফিসে বসে আছি। আমার স্ক্রীনে একটি মহিলার ছবি ভেসে ওঠে এবং আমি সেটা দেখার পর কলটা কেটে দিই। তার কিছুক্ষণ পরেই ওই মহিলা হোয়োটসঅ্যাপ থেকে আমাকে একটা এডিটেড ভিডিও পাঠায় এবং আমাকে হুমকি দেয়। ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করে। এই ভিডিওটা সে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দেবে বলে, আমি যদি তাকে কোনো টাকা-পয়সা না দিই! তাই, আমার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা সমস্ত বন্ধুদের আমি এই বিষয়ে সচেতন করছি রাত করে আসা কোনো কল আপনারা রিসিভ করবেন না।” সন্দীপ এও বলেছেন, এই ঘটনার কথা তিনি জেলা পুলিশ সুপার-কে জানিয়েছেন ইতিমধ্যে।

thebengalpost.net
সেই হুমকি চ্যাট (সন্দীপের সূত্রে প্রাপ্ত) :