দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ ডিসেম্বর: হাসিখুশি, মিশুকে যুবক তারাপদ (তারু নামেই এলাকায় পরিচিত) যে এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবে, তা কেউ ঘুনাক্ষরেও ভাবতে পারেননি! প্রতিবেশী-বন্ধুবান্ধবেরা বলছেন, শুক্রবার সকালেও গ্রামের দোকানে একসাথে তাঁরা চা খেয়েছেন। ধান কাটা নিয়ে গল্প করেছেন। তার কয়েক ঘন্টা পরেই বাসে চেপে ভাদুতলা গিয়েছেন। অন্যান্য দিন অবশ্য নিজের বাইকে করেই বেরোতেন! সকাল এগারোটা-সাড়ে এগারোটা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের ওই ভাদুতলা জঙ্গলমহল স্টেশনেই প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন, শালবনী ব্লকের জাড়া গ্রামের বছর ৪২ এর তারাপদ ঘোষ। এলাকায় ইঁট-পাথর সাপ্লাইয়ের ব্যবসায়ী হিসেবে যথেষ্ট নাম ছিল তারাপদ’র। বাবা সুনীল ঘোষও এলাকার নামকরা ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর, মা-স্ত্রী-সন্তান’কে নিয়ে সুখের সংসারই ছিল তারাপদ’র। একমাত্র ছেলে সৌম্যদীপ মৌপাল উচ্চ বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। পড়াশোনাতেও ভালো বলে জানা গেছে। ব্যবসা ছাড়াও বাবা-মা’র একমাত্র ছেলে তারাপাদ (তিন দিদির বিয়ে হয়ে গেছে) চাষবাসও করতেন মন দিয়ে। সবমিলিয়ে একপ্রকার সুখের সংসার বলাই যায়! তবে, ব্যবসার বহর বাড়ার কারণে, ইদানিং নাকি আর্থিক টানাপোড়েন চলছিল। সেটাই হয়তো কাল হল! এছাড়া, তাঁর আত্মহত্যার আর কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না কেউই।
যদিও তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন একটু মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন! কথাবার্তা একটু কমিয়ে দিয়েছিলেন। বাড়ির লোক অবশ্য ভেবেছিলেন, শরীরটা হয়তো ক’দিন ঠিকঠাক যাচ্ছে না। তাই ডাক্তারও দেখানো হয়েছিল বলে জানা গেছে। শুক্রবার তারাপদ যখন ব্যবসার কাজে যাবেন বলে বের হচ্ছিলেন, সেই সময় তাই মা ও স্ত্রী বাধা দিয়েছিলেন বলেও জানা গেছে। তবে, খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবেন বলে বেরিয়েছিলেন তারাপদ। ব্যবসার কাজে ভাদুতলা প্রায়ই আসতে হত তারাপদ’কে। তাঁর দুটি ট্রাক্টর এই এলাকায় ভাড়া দেওয়া ছিল বলে জানা গেছে। এই ভাদুতলাতে তারাপদ যাদের সঙ্গে গল্পগুজব করতেন বা আড্ডা দিতেন, তাঁরাও ভাবতে পারেননি তারাপদ এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবে! দিন চার-পাঁচেক আগেও দিব্যি খোশমেজাজে আড্ডা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে, কাউকে কাউকে নাকি জানিয়েছিলেন, “বাজারে লক্ষ লক্ষ টাকা পড়ে আছে, কেউ ফেরত দিচ্ছেনা! এদিকে, আমারও ধার বেড়ে যাচ্ছে”। আপাততো, ব্যবসায়িক এই টানাপোড়েন ছাড়া শালবনীর তারাপদ ঘোষের আত্মহত্যার আর কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! শনিবার বিকেলে ময়নাতদন্ত হয়ে (আদ্রা ডিভিশনের রেলের হাসপাতাল থেকে) তারাপদ’র দেহ গ্রামে ফিরবে বলে জানা গেছে। এদিকে, বাড়ির একমাত্র এবং রোজগেরে ছেলের এই মর্মান্তিক পরিণতিতে অথৈ জলে সংসার। কিভাবে মেধাবী ছেলে পড়াশোনা করবে, কেইবা সংসার চালাবে, তা নিয়ে জাড়ার ঘোষ পরিবারে দুঃশ্চিন্তার কালো মেঘ!
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ জুন: বাঙালির ভাষা শিক্ষা আর নীতিশিক্ষার ভিত গড়ে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ জুন: গবাদি পশু (মহিষ) খুঁজতে বেরিয়ে দলছুট দাঁতালের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ জুন: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে পঞ্চায়েত…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ জুন: গত ১৯ এপ্রিল প্রকাশিত সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ জুন: ছুটিতেও ছুটি নেই তাঁর। গত কয়েকদিন ধরে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ মে: আদালতের নির্দেশে অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে আক্রান্ত…