দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ নভেম্বর: বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে মেদিনীপুর শহরে দুঃসাহসিক চুরি! ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর শহরের অরবিন্দনগরে ডা. প্রশান্ত কুমার গিরির বাড়িতে। জানা গেছে, ডা. গিরি বাড়িটি ভাড়া দিয়েছেন কার্তিক দাশগুপ্ত নামে এক চাকুরিজীবী যুবককে। গত চার বছর ধরে তিনি স্বপরিবারের এই বাড়িতে ভাড়ায় থাকেন। দিনকয়েক আগে কার্তিক বাবু কর্মসূত্রে ৫ দিনের জন্য বাইরে চলে যান। পারিবারের বাকি সদস্যরা কলকাতায় চলে যান আত্মীয়বাড়িতে। সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা দুঃসাহসিক চুরি করল। রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে কার্তিক বাবু দেখেন, বাড়ির বাইরের লোহার গ্রিল এবং দরজার তালা ভাঙা! বাড়ির ভিতরে সব লন্ডভন্ড অবস্থায় পড়ে আছে! তাঁর দাবি, আলমারিতে থাকা ৭ ভরি সোনার গহনা এবং নগদ চল্লিশ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। সোমবার তিনি কোতোয়ালী থানায় লিখিত অভিযোগ করার পর পুলিশ এসে তদন্ত করে গেছে‌ বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত ওই পরিবার।

thebengalpost.net
এইভাবে ভাঙা হয়েছে গ্রিল :

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, খড়্গপুর শহরের পর মেদিনীপুর শহরেও চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে চলায় আতঙ্কিত শহরবাসী। বিভিন্ন সময়ে একাধিক ডাকাত, ছিনতাইকারী অথবা দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করার পরেও কমেনি এই ধরনের চুরি-ডাকাতির ঘটনা! কোতোয়ালী থানা সূত্রে জানা গেছে, ওই ঘটনায় এখনও অবধি কোন দুষ্কৃতী ধরা পড়েনি! তবে, অভিযান চালানো হচ্ছে। এদিকে, ফাঁকা বাড়িতে চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত অনেকেই।‌ কারণ, বিভিন্ন সময়ে বাড়িতে তালা লাগিয়ে কয়েকদিনের জন্য কাজে বা আত্মীয় বাড়িতে যেতে হয় অনেককেই। সেক্ষেত্রে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন!কার্তিক বাবু যে বাড়িতে ভাড়া থাকেন, সেই বাড়ির শক্তপোক্ত লোহার গ্রিল যেভাবে ভাঙা হয়েছে, তা সত্যিই ভয়ের কারণ! লোহার গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢুকে, বাড়ির তালা ভেঙেছে দুষ্কৃতীরা। কার্তিক দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, “নগদ ৪০-৫০ হাজার টাকা ও ৭ ভরি সোনার গহনা নিয়ে পালিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা। আমার ল্যাপটপটিও নষ্ট করে দিয়ে গেছে। অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করুক পুলিশ। এই ধরনের ঘটনা প্রত্যেক শহরবাসীর জন্যই আতঙ্কের। কারণ, বাড়ির বাইরে সকলকেই যেতে হয়।”

thebengalpost.net
ভাঙা হয়েছে তালা :