দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ নভেম্বর: আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মেধাবী ছাত্র ফাইজান আহমেদের (Faizan Ahmed) রহস্য-মৃত্যুর তদন্ত রিপোর্ট জমা দিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ (Paschim Medinipur District Police) এবং আইআইটি খড়্গপুর (IIT Kharagpur) কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা’র নির্দেশ মেনে তাঁর এজলাসে এই রিপোর্ট জমা করা হয়েছে বলে জানা গেছে আদালত সূত্রে। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী বুধবার, ৩০ নভেম্বর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর আইআইটি খড়্গপুরের লালা লাজপত রায় হস্টেল থেকে ফাইজানের পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলে অনুমান করা হয়েছিল! তবে, তাঁর বাবা-মা রীতিমতো খুনের অভিযোগ করেছিলেন। সম্প্রতি তাঁরা সঠিক তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। এরপরই, সঠিক তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা।
উল্লেখ্য যে, গত ১৫ অক্টোবর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ছেলের দেহ নিতে এসে, ময়নাতদন্তের আগেই ফাইজানের বাবা সেলিম আহমেদ অভিযোগ করেছিলেন, “আমার ছেলেকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। কুকুর বিড়ালের মতো পুড়িয়ে মারা হয়েছে। ছ’-সাত দিনের লাশকে গতকালের বলে চালানো হচ্ছে!” তিনি এও দাবি করেছিলেন, “আমরা ইনসাফ চাই। আমাদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের যে মৃতদেহ দেখানো হয়েছে তা আমাদের ছেলের নয়! অনেক স্বাস্থ্যবান এক মৃতদেহ দেখানো হয়েছে। মুখের আদল সম্পূর্ণ আলাদা। আমাদের ছেলে হতেই পারে না! ওকে জ্বালিয়ে, পুড়িয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে।” প্রসঙ্গত, গত ১৪ অক্টোবর আইআইটি খড়্গপুরের লালা লাজপত রায় হস্টেলের একটি রুম থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর তৃতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র ফাইজান আহমেদের দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও আইআইটি কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর সঠিক কারণ না জানালেও, প্রাথমিকভাবে বিষয়টিকে ‘আত্মহত্যা’ বলেই চালানো হচ্ছিল! তবে, তাঁর পরিবারের তরফে প্রথম থেকেই অভিযোগ করা হচ্ছিল, র্যাগিং বা অন্য কোনো কারণে ‘খুন’ হয়েছেন ফাইজান। সঠিক তদন্তের দাবিতেই তাই তাঁরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন।