দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ এপ্রিল: ST তালিকাভুক্ত করা তথা সিআরআই (Cultural Research Institute)- এর জাস্টিফিকেশন রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে পাঠানোর দাবিতে পশ্চিম মেদিনীপুর সহ জঙ্গলমহল জুড়ে কুড়মি আন্দোলন বা ‘ঘাঘর ঘেরা’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে ১ লা এপ্রিল থেকে। এদিকে, খড়্গপুরের খেমাশুলিতে ৬ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ শুরু হয়েছে ৪ এপ্রিল থেকে এবং রেল পথ অবরোধ শুরু হয়েছে ৫ এপ্রিল থেকে। এদিকে, টানা ৮০ ঘন্টার বেশি সময় ধরে খড়্গপুরের খেমাশুলি এবং পুরুলিয়ার কুস্তাউরে রেলপথ অবরুদ্ধ হয়ে থাকায় বাতিল করা হয়েছে টাটা ও মুম্বাই লাইনের সমস্ত মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন। শনিবার (৮ এপ্রিল) বাতিল করা হয়েছে হাওড়া-পুনে দুরন্ত এক্সপ্রেস (১২২২২), নিউ দিল্লি-ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস (২২৮২৪), ভুবনেশ্বর-নিউ দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস (২০৮১৭), পুরী-নিউ দিল্লি-পুরী এক্সপ্রেস (১২৮০১/১২৮০২), সাঁতরাগাছি জবলপুর হামসফর এক্সপ্রেস (২০৮২২), মুম্বাই-হাওড়া-মুম্বাই গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস (১২৮৫৯/১২৮৬০), হাওড়া-ঘাটশিলা-হাওড়া মেমু এক্সপ্রেস (১৮০৩৩/১৮০৩৪) সহ ৫৮-টি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন।
অন্যদিকে, শুক্রবারই দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কুড়মি আন্দোলনের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য হাওড়া-টাটা, হাওড়া-মুম্বাই গামী সমস্ত এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। এমনকি, ঘুর পথে অর্থাৎ চক্রধরপুর (ঝাড়খণ্ড)-ওড়িশা লাইন দিয়েও চলবেনা কোন ট্রেন। এমনকি, মালগাড়ি চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই, এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জঙ্গলমহলে অবস্থিত শিল্প ও কলকারখানা গুলিতেও। গতকাল থেকে একেবারেই আসছেনা কাঁচামাল। যোগানও প্রায় শেষের পথে। শনিবার বেলা দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনীতে অবস্থিত ডালমিয়া ভারত সিমেন্ট কারখানার তরফে জানানো হয়েছে, টাটা থেকে স্ল্যাগ না আসায় এবং ওড়িশার সুন্দরগড় থেকে স্প্লিন্টার না আসার কারণে, শনিবার সকাল থেকে তাঁদের সিমেন্ট কারখানা বা প্ল্যান্টের কাজকর্ম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। মোটামুটি একই অবস্থা শালবনীতে অবস্থিত JSW সিমেন্ট কারখানা সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্যান্য শিল্প ও কলকারখানা গুলিতেও। ইতিমধ্যে তাঁরা এই বিষয়ে জেলা প্রশাসন এবং জেলা চেম্বার অফ কমার্সের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলেও জানিয়েছেন।