দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ ডিসেম্বর: রবি ঠাকুরের গল্পে (‘জীবিত ও মৃত’) সন্তানহীন বিধবা কাদম্বিনী শেষ পর্যন্ত ‘মরিয়া’ প্রমাণ করেছিল যে ‘সে মরে নাই’! একই বিড়ম্বনায় পড়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বছর ৩৫-র গৃহবধূও। দিব্যি স্বামী-সন্তানদের নিয়ে সংসার করছেন দাসপুর ২নং ব্লকের খেপুত গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণবাড় গ্রামের গৃহবধূ পূর্ণিমা বারিক। পাচ্ছিলেন ‘মমতা দিদি’-র দেওয়া লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকাও। হঠাৎ করেই তা বন্ধ হয় যায়। দু-এক মাস পর সংশ্লিষ্ট দপ্তরে খোঁজ নিয়ে পূর্ণিমা জানতে পারেন, ‘জুন’ মাস থেকে তিনি (পূর্ণিমা) মৃত (সরকারি খাতায়)! এরপরই, নিজেকে ‘জীবিত’ প্রমাণ করতে আদালত থেকে ব্লক প্রশাসন- সর্বত্র ছোটাছুটি শুরু করেছেন ‘বাস্তবের কাদম্বিনী’ পূর্ণিমা।

thebengalpost.net
তথ্য তুলে ধরছেন পূর্ণিমা :

প্রসঙ্গত, দাসপুর ২নং ব্লকের খেপুত গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণবাড় গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারের গৃহবধূ পূর্ণিমা। তবে, দারিদ্র্যকে সঙ্গী করেই স্বামী ও দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে দিব্যি সংসার করছিলেন তিনি। প্রতি মাসে পাচ্ছিলেন লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকাও। আর, সেই টাকায় মেয়েদের টিউশনের বেতন মেটাতেন বলে দাবি পূর্ণিমার। হঠাৎ করেই ছন্দপতন! সরকারি খাতায় তিনি হয়ে উঠলেন ‘মৃত’! তাই, চলতি বছরের জুন মাস থেকে বন্ধ হয়ে যায় লক্ষ্মীর ভান্ডার। পূর্ণিমা অবশ্য প্রথমে এই কারণ জানতেন না। অনেক খোঁজখবর নিয়ে শেষমেষ জানতে পারেন। এরপরই, তাঁকে পুনরায় ‘জীবিত’ করে দেওয়ার আবেদন নিয়ে সর্বত্র ছোটাছুটি শুরু করেছেন পূর্ণিমা। এই বিষয়ে দাসপুর দু’নম্বর ব্লকের নবনিযুক্ত বিডিও প্রবীর কুমার শিট বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। ওই মহিলার সাথে কথাও বলেছি। কিছু একটা টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে এমনটা হয়েছিল। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। খুব দ্রুত ওঁর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু হয়ে যাবে।”