দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ জুলাই: সাতসকালেই জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু চার জনের! শনিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার রানিসরাই এলাকায় ১৬নং জাতীয় সড়কের উপর। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খড়গপুর-বালেশ্বর এই জাতীয় সড়কের উপর একটি ট্রাক ও স্করপিও-র মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় স্করপিও-তে থাকা চার জনের। ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে বেলদা থানার পুলিশ। আটক করা হয় ট্রাকটিকে। গ্রেপ্তার হয়েছেন ট্রাকের চালক। যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে স্করপিও-র অতিরিক্ত গতিবেগই দায়ী!

জানা গিয়েছে, এদিন খড়্গপুরের দিক থেকে একটি স্করপিও গাড়িতে করে চারজন বালেশ্বরের (ওড়িশার) দিকে যাচ্ছিলেন। গাড়ির গতিবেগ এতটাই বেশি ছিল যে, বেলদার রানিসরাই এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই স্করপিওটি ডিভাইডার টপকে অন্য লেনে গিয়ে পড়ে! আর তাতেই খড়্গপুরগামী একটি টমেটো বোঝাই ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ওই স্করপিও-র। দুমড়েমুচড়ে যায় স্করপিওটি। ট্রাকের সামনের অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে, ট্রাকের চালক ও খালাসি অক্ষত আছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। অন্যদিকে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত স্করপিও গাড়ি থেকে মৃত যাত্রীদের বের করতে যথেষ্ট বেগে পেতে হয় পুলিশকে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয়দের সহায়তায় ইলেকট্রিক কাটার ও ক্রেনের সাহায্যে ধীরে ধীরে গাড়ির চার যাত্রীকে উদ্ধার করে বেলদা হাসপাতালে পাঠানো হলে, চিকিৎসকেরা চার জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত চারজনই পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল এলাকার বাসিন্দা। তাঁরা দিঘার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন বলেও প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মৃতরা হলেন যথাক্রমে কার্তিক চন্দ্র লাহিড়ী (৬০), অতনু গুহ (৪২), বিশ্বজিৎ মন্ডল (৪৮) এবং হিমাদ্রি শেখর পাত্র (৪৪)। তাঁরা সকলেই আসানসোলের একটি আবাসনের বাসিন্দা। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে স্করপিও-র অতিরিক্ত গতিবেগের কারণেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। তবে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে ট্রাকের চালককে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।