দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ জুলাই: রাতের খাবার খাওয়ার পর চিকিৎসকের প্রেসক্রাইব করা ওষুধ খেতে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) এক পড়ুয়ার! শ্বাসনালীতে ওষুধ (ট্যাবলেট) আটকে গিয়ে ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে পুলিশ ও আইআইটি কর্তৃপক্ষ সূত্রে। মৃত পড়ুয়ার নাম চন্দ্রদীপ পাওয়ার (Chandradeep Pawar)। বছর ১৯-র চন্দ্রদীপ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বাড়ি মধ্যপ্রদেশে। সোমবার রাত্রি ১১টা নাগাদ আইআইটি খড়্গপুরের বি.সি রায় হাসপাতালে ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যেই মৃত পড়ুয়ার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে আইআইটি খড়্গপুর কর্তৃপক্ষের তরফে।

thebengalpost.net
ফের ছাত্র-মৃত্যু আইআইটি খড়্গপুরে:

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):

আইআইটি খড়্গপুরের নেহেরু হলে (ডি-৪০৮ রুমে) ওই পড়ুয়া থাকতেন। এদিন রাতের খাবার খাওয়ার পর জ্বর-সর্দির ওষুধ খাওয়ার সময়ই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গেছে। গলায় ওষুধ আটকে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দ্রুত তাঁকে আইআইটি খড়গপুরের বি.সি রায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সিপিআর (CPR)-ও দেওয়া হয়। তবে, শেষ রক্ষা হয়নি! গত শুক্রবার (১৮ জুলাই)-ও আইআইটি খড়্গপুরের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ঋতম মন্ডলের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। মাত্র তিন দিনের মধ্যেই ফের দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ অইআইটি খড়গপুর কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসেই ৫ জন মেধাবী পড়ুয়ার মৃত্যু হল আইআইটি খড়্গপুর ক্যম্পাসে। চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি সাওন মালিক, ২০ এপ্রিল অনিকেত ওয়ালকার, ৪ মে মহম্মদ আসিফ কামার, ১৮ জুলাই, শুক্রবার ঋতম মণ্ডল এবং ২১ জুলাই, সোমবার চন্দ্রদীপ পাওয়ারের মৃত্যু হয়। তবে, প্রথম চারজনের মৃত্যুর ক্ষেত্রেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় এবং আত্মহত্যার তত্ত্বই উঠে আসে। সোমবার (২১ জুলাই) রাতের ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “শ্বাসনালীতে ওষুধ আটকে আইআইটি খড়্গপুরের এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। আইআইটি ক্যাম্পাসে অবস্থিত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা তথা সিপিআর দেওয়াও শুরু হয়। তবে চিকিৎসা চলাকালীনই ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার দেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে।”