দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ নভেম্বর: মামিমাকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবক। যদিও, এলাকাবাসীরা বলছেন, ভাগ্নের সাথে মামিমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল! তবে কি ভাগ্নের সাথে ‘অভিসারে’ গিয়েও শেষপর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ আনলেন মামিমা? গ্রেপ্তার হয়ে আদালতে যাওয়ার পথে শনিবার দুপুরে ‘কলির কেষ্ট’ ভাগ্নে অন্তত তেমনটাই ‘দাবি’ করলেন। ধৃত যুবক বলেন, মামিমার সাথে চার বছর ধরে তাঁর ‘ভালোবাসার সম্পর্ক!’ মামিমার কথাতেই পালিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। ফিরে এসে সংসার বাঁচাতেই অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন মামিমা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি থানা এলাকায়।

thebengalpost.net
ধৃত ভাগ্না:

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কেশিয়াড়ি থানা এলাকারই বাসিন্দা, বছর ৩২-এর এক গৃহবধূ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) তাঁকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। শিবু ঘোষ নামে বছর ৩১-এর এক যুবকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনেন তিনি। ওই গৃহবধূ সম্পর্কে শিবুর মামিমা। অভিযোগ পাওয়ার পরই শুক্রবার রাতে শিবুকে তাঁর নিজের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ। শনিবার দুপুরে শিবুকে আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। আদালতে যাওয়ার পথে শিবু দাবি করেন, ‘মামিমাই বলে, চলো আমরা কোথাও পালিয়ে যাই। হলদিয়ায় গিয়েছিলাম আমরা।’ শিবুর প্রশ্ন, ‘তিনটে দরজা পেরিয়ে একজনকে জোর করে নিয়ে যাওয়া যায়?’ তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলেও দাবি শিবুর। তাঁর মা বলেন, ‘আমি জানতাম না ওদের মধ্যে এই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। জানলে নিশ্চয়ই বাধা দিতাম। আমার ছেলেও বিবাহিত। আমাদের বাড়ির পাশের গ্রামেই আমার বাপের বাড়ি। ওর মামিমা মাঝেমধ্যেই শিবুকে ফোন করে ডাকত, চাষবাস সহ নানা কাজে সহযোগিতা করার জন্য। আমিও আমার ভাইয়ের বৌকে খুব ভালোবাসতাম। শেষে ওই ফাঁসিয়ে দিল আমার ছেলেকে।’ তিনি এও দাবি করেন, ‘হলদিয়াতে একটি সালিশি সভাও হয়েছিল। সেখানে আমার ভাইয়ের বউ স্বীকার করেছিল, ও নিজের ইচ্ছেতেই পালিয়ে এসেছে।’ অন্যদিকে, অভিযোগকারিনীর স্বামী বলেন, ‘এনিয়ে আপনাদের কিছু বলতে চাইনা। যা হওয়ার আইন-আদালতের মাধ্যমেই হবে।’

পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক তদন্তে অপহরণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে, ১৪ নভেম্বর মহিলার স্বামী কেশিয়াড়ি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন। গত ২০ নভেম্বর হলদিয়া থেকে স্বামীর সাথে ফিরে আসেন অভিযোগকারিনী মহিলা। ২১ নভেম্বর থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘শুক্রবার অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আমরা নিজেদের হেফাজতে নিয়েছি। তদন্তে সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

thebengalpost.net
তিন দিনের পুলিশ হেফাজত ধৃতের: